কক্সবাজারে একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১৩ লাখ ইয়াবার চালান জব্দ করেছে র্যাব। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এসময় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।আটককৃতরা হলেন-কক্সবাজার সদরের ঝিংলজা ইউনিয়নের দক্ষিণ হাজিপাড়া এলাকার মৃত আবদুল মজিদের ছেলে মো. বিল্লাল (৪৫) ও উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-১৪ ব্লকের বশির আহমদের ছেলে মো. আয়াছ (৩৪)।
সোমবার বেলা ১২টায় র্যাব-১৫ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার।
তিনি জানান, র্যাবের টিম গোপন সূত্রে খবর পায়, ইয়াবার বড় চালান নিয়ে মিয়ানমার থেকে মাছ ধরার একটি ট্রলার বাংলাদেশ জলসীমানায় প্রবেশ করেছে। র্যাব আরো জানতে পারে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাছ ধরার ট্রলারটি গভীর সমুদ্রপথ ছেড়ে উপকূলের কাছাকাছি পথে আসছে। খবর পেয়ে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদের নেতৃত্বে র্যাবের একটি টিম টেকনাফ উপকূলে অবস্থান নেয়।
ট্রলারটি সন্দেহজনকভাবে দেখতে পেয়ে এটি থামার সংকেত দেয় এই সময়ে ট্রলারটি র্যাবের সংকেত না মেনে পালিয়ে যেতে থাকে। র্যাব পেছন থেকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ট্রলারটি বাঁকখালী নদীপথে প্রবেশ করে। র্যাব ধাওয়া করে এসে কক্সবাজার শহর সংলগ্ন মাঝিরঘাটে ট্রলারটি আটক করে। এসময় ট্রলারে থাকা পাচারকারী দলের দুই সদস্যকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, বোটের গোপন জায়গায় লুকানো অবস্থায় একটি বড় প্যাকেট উদ্ধার করে র্যাব। ওই প্যাকেটে পাওয়া গেছে ১৩ লাখ ইয়াবা।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, জব্দ করা ইয়াবার বাজার মূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা। সম্প্রতি জব্দ করা ইয়াবার এটি সবচেয়ে বড় চালান।