» গণপরিবহনে আগের আগের ভাড়ায় -উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

এস আহমেদ ডেক্স » আজ (মঙ্গলবার) থেকে পূর্বাবস্থায় ফিরেছে অধিকাংশ গণপরিবহন। আজ প্রথমদিন সরেজমিনে অধিকাংশ বাসের চালক ও সহকারীকে মুখে মাস্ক কিংবা গাড়িতে ওঠার সময় স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে উঠতে দেখা যায়নি।এর আগে গত ৩১ মে সরকার আন্তঃজেলা বাস পরিষেবাসহ সব বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যানবাহন চলাচলের শর্ত হিসেবে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দেখা যায়, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। বর্ধিত ৬০ শতাংশ ভাড়া কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। এ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলতে দেখা গেছে। এর ফলে করোনার সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।আজ (মঙ্গলবার) থেকে পূর্বাবস্থায় ফিরেছে অধিকাংশ গণপরিবহন। বর্ধিত ৬০ শতাংশ ভাড়া কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। এ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলতে দেখা গেছে। এর ফলে করোনার সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তায় বাসের সংখ্যা বেড়েছে। যাত্রীর সংখ্যাও বেশি। অনেক বাসের সব আসন পূরণ হতে দেখা যায়নি। আবার অনেক বাস অতিরিক্ত যাত্রী নিচ্ছে। বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশকে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যায়। যাত্রাবাড়ীতে কর্তব্যরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ বাসে যাত্রী সংখ্যা খুব বেশি না হলেও বেড়েছে। দু-একদিন না গেলে গণপরিবহনে যাত্রী কতটুকু বেড়েছে তা বোঝা যাবে না।, কথা ছিলো যত আসন তত যাত্রী নেবেন। কিন্তু লোকাল বাসগুলোর দরজার কাছে অনেক যাত্রীকে দেখেছি দাঁড়িয়ে আছে। এ ছাড়া বাসগুলোর মধ্যে অসম প্রতিযোগিতাও রয়েছে যাত্রী তোলা আর ওভারটেক করার ব্যাপারে। যদি সব বাস একটি মালিক সমিতির অধীনে আনা হতো তাহলে ভালো হতো।উল্লেখ্য, এর আগে শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, আজ (১ সেপ্টেম্বর) থেকে গণপরিহন আগের ভাড়ায় ফিরে যাবে। তিনি বলেছিলেন, ‘সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং জনস্বার্থ বিবেচনা করে সরকার ১ সেপ্টেম্বর থেকে গণপরিবহনের আগের নির্ধারিত ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’এ ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত সংশ্লিষ্টদের প্রতিপালন করতে হবে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, চালকের সহকারী, টিকিট বিক্রয়কারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সাবান পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আসন সংখ্যার অতিরিক্ত কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। অর্থাৎ যত সিট তত যাত্রী পরিবহন নীতি কার্যকর হবে। দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালাতে হবে। ট্রিপের শুরু এবং শেষে যানবাহন জীবাণুমুক্ত করতে হবে।’