মুক্তিযুদ্ধের অলিখিত ইতিহাস ও কমান্ডার কাজী আবদুল হক-জামাল উদ্দিন

  জামাল উদ্দিন: গবেষক লেখক ও প্রকাশক- ১৯৭১ সালের মার্চ মাস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক চলছিল বর্বর ইয়াহিয়া খানের। বাংলার নিরীহ জনগণ জানত না অন্ধকারে পাকিস্তানী হায়েনারা এত রক্ত পান করবে। ২৫ মার্চ রাতে মানুষ যখন গভীর নিদ্রায় মগ্ন, গর্জে উঠল হিংস্র পশুর বন্দুক, কামনা। চারিদিকে লেলিখান অগ্নিশিখা। আগুনে ছারখার হয়ে যাচ্ছে বাংলার সম্পদ। নিরীহ মানুষের আত্মনাদ শুনতে পেলেন, শুনতে পেলেন মা-বোনের করুল আবেদন। বুঝতে পারণে বাঙালি জাতির আজ চরম দুর্দিন, পাকিস্তানি হানাদাররা বাঙালি জাতিকে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। কিন্তু তারা তা কোন দিন পারবে না। বঙ্গবন্ধু ৭মার্চ ঢাকায় রেসকোর্স ময়দানে বলেছিলেন “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। এবং প্রতি মুহূর্তে প্রস্তুত থাকতে বলেছিলেন। এমনই মুহূর্তে সেদিনের টকবগে যুবক কাজী আবদুল হক স্থির থাকতে পারলেন না। তিনি চট্টগ্রাম শহর থেকে ছুটে গেলেন নিজ জন্মস্থান আনোয়ারায়। নেমে পড়লেন স্থানীয় যুবকদের সংগঠিত করার কাজে। যুবকদের সংগঠিত এবং পাড়া-মহল্লায় কমিটি গঠন করে শুরু সদস্যদের সশস্ত্র ট্রেনিং গ্রহণ ও অস্ত্র সংগ্রহ শেষে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। গঠন করেন মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ। ঐ গ্রুপটির কমান্ডারের দায়িত্ব নেন তিনি নিজেই। তাঁরই নেতৃত্বে পাকিস্তানি হানাদার ও রাজাকার আলবদরদের ক্যাম্পে একের পর এক অপারেশন পরিচালনা করতে গিয়ে গ্রুপটি সর্বমহলে ‘কাজী হক গ্রুপ’ নামেই বহুল আলোচিত হয়ে ওঠে। যোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের এদেশীয় দোসর শান্তি কমিটির সদস্য,রাজাকার, আলবদর ও আলশামস্ বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। বলতে গেলে তাঁরা জীবনবাজি রেখেই মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাসে অস্ত্র ধারণ করেছিল শত্রুর বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে এই গ্রুপের রয়েছে ব্যাপক সাফল্য। গ্রুপের উল্লেখযোগ্য সদস্যরা হলেন : ১.আবুল মনসুর চৌধুরী-বৈরাগ, ২. সৈয়দ ফজলুল হক-বৈরাগ, ৩.মোহাম্মদ সোলায়মান-বৈরাগ, ৪. আবদুল গনি- গুয়াপঞ্চক, ৫. আবদুল জব্বার-বন্দর, ৬. শামসুল হক-গুন্দ্বিপ, ৭.আবদুল মোতালেব-পড়ুয়াপাড়া, ৮. আবু তাহের বাঙালি-রায়পুর, ৯. মোহাম্মদ ইউছুফ-দক্ষিণ গহিরা, ১০. আলমগীর চৌধুরী-গুয়াপঞ্চক, ১১. কালুফকির-বৈরাগ, ১২. আবদুল মোনাফ-বৈরাগ, ১৩. শামসুদ্দিন পুলিশ-বৈরাগ, ১৪. রফিক আহামদ-বড়উঠান, ১৫. জোবায়ের আহামদ-কৈনপুরা, ১৬. জাফর আহমদ-বড়উঠান। সেই মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রুমুক্ত হওয়া পর্যন্ত তিনি গ্রুপের সদস্যদের সাথে নিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও এদেশীয় রাজাকার আলবদরদের বিরুদ্ধে একের পর এক অপারেশন পরিচালনা করেন। উল্লেখ্য যে, তাঁর গ্রুপের যোদ্ধাদের হাতেই সপরিবারে ধরা পড়েছিল পাকিস্তান দালাল কুখ্যাত ফজলুল কাদের চৌধুরী। তিনি পরিবারের সদসদেও সাথে চট্টগ্রাম শহর থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল বার্মায় (মায়ানমার)। সেদিন ছিল ১৪ ডিসেম্বর। কমান্ডার কাজী আবদুল হক ও শাহ জাহান ইসলামী গ্রুপের যোদ্ধারা ঐদিন সকালে মেরিন একাডেমি’র পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে অপারেশন পরিচালনা করেন। সেই অপারেশনে পাকিস্তানী সেনারা আত্মসমর্পণ করা কালীন কাজী আবদুল হক খবর পান যে, পাকিস্তান কনভেনশন মুসলিম লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী (ফকা চৌধুরী) সপরিবারে একটি ইঞ্জিনবোটে বার্মা পালিয়ে যাচ্ছে। পতেঙ্গার সাম্পান মাঝি ফেলুমিয়া ও নবী হোসেন এ সংবাদটি পৌঁছে দেন কাজী আবদুল হকের কাছে। তারা বলেন যে, ফজলুল কাদের চৌধুরী (ফকা চৌধুরী) সপরিবারে বার্মা পালিয়ে যাচেছ। কিন্তু ভাটার টানে তাদের বহনকৃত ইঞ্জিনবোটটি রাঙ্গাদিয়া চরে আটকে যায়। সাগরে জোয়ার আসার সাথে সাথে আমরা বার্মার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবো। সাথী অন্য দুই মাঝিকে সাম্পানে রেখে আমরা আপনাদের খবর দিতে এসেছি। এই সময় মুক্তিযোদ্ধারা মেরিন একাডেমিতে নিজ নিজ অবস্থানে কর্তব্যরত। মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম আবু সঙ্গী অন্যদেরকে সতর্ক অবস্থায় রেখে তাহের বাঙালি, আবদুর রাজ্জাক, আবদুল কাদের চৌধুরী, মোহাম্মদ ইউসুফ ও আনোয়ারা থানা থেকে আত্মসমর্পণকারী তিনজন পুলিশ সদস্যকে সাথে নিয়ে চলে যায় নদীর চরে। এই খবর পেয়ে আরও বেশ কয়জন মুক্তিযোদ্ধাও চলে আসে বেড়ী বাঁধের কাছে। যোদ্ধাদেরকে সাম্পানের দিকে এগিয়ে যেতে দেখে সাম্পানের অন্য দুই মাঝি সাম্পান ছেড়ে দেয়ার জন্য তৈরি হয়ে যায়। এমনই অবস্থায় সাম্পান থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম আবু পর পর দুই রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। গুলির শব্দে মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে কিছুক্ষণ পর সাম্পানের ভেতর থেকে ফজলুল কাদের চৌধুরীর স্ত্রী সাম্পানের পাটাতনে চলে আসে। তিনি জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানান। পর পর পেছন থেকে উঠে আসে স্বয়ং ফকা চৌধুরী, তাদের পেছন পেছন উঠে আসে ছেলে জামাল উদ্দিন কাদের চৌধুরী, সাইফুদ্দিন কাদের চৌধুরী ও একজন ন্যাভেল পাঞ্জাবি অফিসার। মুক্তিযোদ্ধারা তাদেরকে নিয়ে চলে আসে বেড়ী বাঁধে। এই সময় দলবল নিয়ে গ্রুপ কমান্ডার কাজী আবদুল হক ঘটনাস্থলে চলে আসে। সাথে থাকা গ্রুপ কমান্ডার আবদুর রাজ্জাক, অপারেশন কমান্ডার নুরুল ইসলাম আবু, আবদুল কাদের চৌধুরী, মোহাম্মদ ইউসুফ বন্দিদের নিয়ে কয়েকটি ট্যাক্সি ভাড়া করে মোহছেন আউলিয়া উচ্চবিদ্যালয়স্থ মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পের দিকে রওয়ানা হন। একটি গ্রুপ ন্যাভেল পাঞ্জাবি অফিসারকে নিয়ে আসে মেরিন একাডেমিতে। ধৃত হবার সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধারা ফকা চৌধুরীর কাছ থেকে একটি টু-টু রাইফেল, একটি রিভলভার ও একটি লাগেজ উদ্ধার করে। বটতলী ক্যাম্পে নেয়ার কিছুক্ষণ পর ফকা চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধাদের অনুরোধ করেন তাদেরকে যেন স্কুলের নিকটস্থ মুসলিম লীগের স্থানীয় নেতা চেয়ারম্যান এয়াকুব আলী চৌধুরীর বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করেন। এয়াকুব আলী চৌধুরীর সাথে ফজলুল কাদের চৌধুরীর পূর্ব থেকেই ঘনিষ্টতা রয়েছে। মসলীম লীগ রাজনীতির সূত্রে উভয়ে ছিল এক সুতোয় গাথা। মুক্তিযোদ্ধারা সবকিছু বিবেচনা করে তাদেরকে নিয়ে যায় এয়াকুব আলী চৌধুরীর বাড়িতে। বন্দিদের সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা ব্যবস্থা নেন। উল্লেখ্য যে, ফকা চৌধুরী গ্রেপ্তার ও বটতলী স্কুলে আটক করে রাখা হয়েছে, এই খবর চতুদিকে ছড়িয়ে পড়লে তাকে এক নজর দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসে বটতলীতে। ফজলুল কাদের চৌধুরী আটক সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয় ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে দৈনিক বাংলায়। উক্ত সংবাদের শিরোনাম ছিল “ফকা চৌধুরীর দেড় মন সোনাসহ পালাচ্ছিল”। সংবাদে উল্লেখ করা হয় “৭ লক্ষ রুপী ও দেড় মণ সোনাসহ ট্রলারে করে বার্মা পালিয়ে যাওয়ার সময় ট্রলারটি মাঝের চরে বালির সাথে আটকে যায়।” ফজলকাদের চৌধুরীকে গ্রেপ্তার ছাড়াও কাজী আবদুল হক গ্রুপের যোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাসে বটতলী গ্রামের হলিদা পাড়ার রাজাকার কমান্ডার আবদুল হাকিম (প্রকাশ টিক্কা খান) এর বাড়ি অপারেশন, বাঁশখালী থানার চাঁদপুর গোডাউনস্থ রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন, চন্দনাইশ থানার কাঞ্চনা ব্রীজ ধ্বংস করে দেয়ার অপারেশন, আনোয়ারা থানায় দ্বিতীয়বার অপারেশন, পটিয়া হেডকোয়ার্টার অপারেশ,.ডুমুরিয়া গ্রামে রাজাকার অহিদুল আলমের (টিপু) বাড়ি অপারেশন, গহিরার রাজাকার কমান্ডার নুরুল হকের বাড়ি অপারেশন, খাসখামা গ্রামে রাজাকার কমান্ডার নুরুল আবছারের বাড়ি অপারেশন, ডুমুরিয়া গ্রামের রাজাকার কমান্ডার নুরুল আমিনকে গ্রেপ্তার, থানা শান্তিকমিটি চেয়ারম্যান উকিল ফজল করিমকে গ্রেফতার , বোয়ালিয়া গ্রামস্থ রাজাকার কমান্ডার আলী আহমদ তালুকদারকে গেফতার সহ অসংখ্য অপারেশনে অংশগ্রহণ করেন। ১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রুমুক্ত হবার পর থেকে কমান্ডার কাজী আবদুল হক এলাকার উন্নয়নে নানামুখি পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করেন। প্রথমেই নিজ গ্রামের ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার উন্নয়নের জন্যে উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। নানা প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে ‘গুয়াপঞ্চক উচ্চ বিদ্যালয়’ নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে উন্নতির শিহরে নিয়ে আসেন। এমনকি এলাকার ছেলে-মেয়েদেরকে বিদ্যালয়মুখি করতে গিয়ে তিনি তাদের পড়ালেখার ব্যয়ভার, বই ও শিক্ষার নানা সামগ্রির ব্যবস্থাও তাঁকে করতে হয়েছে। বিদ্যালয়টি আজ সুপ্রতিষ্ঠিত এবং বিদ্যালয়ের চতুদিকের গ্রামগুলোর ছেলে-মেয়েরা উচ্চ শিক্ষা লাভ করে কর্মজীবনে সফলতা অর্জন করছে ও করে যাচ্ছে। কাজী আবদুল হক দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একজন সৎ, নির্লোভ, নিরহংকারী সর্বোপরি একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক হিসেবে অত্যন্ত সুপরিচিত। এই দেশপাগল, রাজনীতিপাগল মানুষটি অন্যায়ের কাছে কখনো আপোষ করেন নি। রাজনীতির পালাবদলে গা ভাসাননি। একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সহপাটি অন্যসব মুক্তিযোদ্ধাদের মুল্যায়ন ও সুখ দুঃখের খবার খবর রাখতেন। ১৯৯৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কর্তৃক গঠিত আনোয়ারা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বছাই কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন। চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জে গড়ে তুলেছিলেন ব্যসা প্রতিষ্ঠান। ব্যবসায়িক পরিমন্ডলে তিনি একজন সৎ ব্যবসায়ী হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন। মানুষকে খুব বেশি বিশ্বাস করতেন বলে নিজে ঠকলেও কেউ তাঁর কাছে ঠকেছেন এমন নজির নেই। তিনি ব্যবসায়িক কাজে জাপান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যন্ড, ভারত সহ বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল হকের জন্ম ৩১ ডিসেম্বর ১৯৪১ সালে আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক গ্রামে। পিতা আবদুল মালেক মাস্টার ও মাতা রাবেয়া খাতুন। শৈশবে স্থানীয় মক্তবে এবং স্কুল শিক্ষক পিতার হাতে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু। অতঃপর স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে সমাপনী পরীক্ষা শেষ করে বটতলী মোহছেন আউলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। উক্ত বিদ্যালয় হতে ১৯৫৭ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম সিটি কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নকালে তিনি শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। সেই ষাটের দশক থেকে তিনি বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯ -এর আয়ুক খানের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ৭০ সালের জাতীয় ও প্রাদেশিক প্ররিষদ নির্বাচনে এম.এন.এ প্রার্থী আতাউর রহমান খান কায়সার ও এম.পি.এ প্রাথী আখতারুজ্জামান বাবুর নির্বাচনে জোরালো ভূমিকা পালন করেন। পারিবারিক জীবনে তিনি চার পুত্র ও তিন কন্যার গর্বিত পিতা ছিলেন। তাঁর বড় ছেলে ক্যাপ্টেন কাজী মোহাম্মদ আহসান বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের ক্যাপ্টেন ছিলেন এবং বর্তমানে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের “নটিক্যাল সার্ভেয়ার এন্ড এক্সামিনার হিসেবে কর্মরত আছেন। দ্বিতীয় ছেলে কাজী মুহাম্মদ হাসান বাংলাদেশ সরকারের উপ সচিব এবং বর্তমানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)-এর পরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে কর্মরত। তৃতীয় ছেলে কাজী মুহাম্মদ হোসাইন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ভূমি অফিসে কর্মরত। চতুর্থ ছেলে কাজী মুহাম্মদ মোহসেন সিনিয়র সহকারী জর্জ হিসেবে কর্মরত এবং বর্তমানে সরকারের বৃত্তি নিয়ে উচ্চ শিক্ষার্থে ইংল্যান্ডে অবস্থান করছেন। তিন কন্যা প্রত্যেকেই বিবাহিতা এবং গৃহিনী। গত ২২ জুলাই ২০২০ সালে বার্ধক্যজনিত রোগে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরলোক গমন করেন। লেখক : গবেষক ও লেখক