“খোলা চিঠি” » মোহাম্মদ খালেদ রশীদ সৌদি আরব মদীনা।

সুপ্রিয় সম্মানিত নগর পরিকল্পনাবিদগণ আসসালামু আলাইকুম/আদাব
বছরের পর বছর চট্টগ্রামে কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এবং ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে সেতু, ওভার ব্রিজ,পার্ক, সড়ক, ইত্যাদি ইত্যাদি করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগণ, এমনকি ঘরে ঘরে গিয়ে ময়লা সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে যা যা প্রয়োজন তা তা কাজ করে যাচ্ছেন। সবকিছুই প্রশংসার মত কাজ। এককথায় বলতে পারি ডিজিটাল সিটি। তারপরও রাস্তাঘাটে, ড্রেইনে, খালে অলিগলিতে এতো এতো ময়লা-আবর্জনা যা দেখে আমাদের বুঝতে কষ্ট হবে আমরা কি ডিজিটাল যুগে বাস করি? নাকি আদিম যুগে?
এবার দেশে যখন ছুটিতে গেলাম আমার ছয় বছরের ছেলে তাকওয়া অটো-ট্যাক্সিতে বসে বাদাম খাচ্ছিল আর বাদামের খোসা অটো-টেক্সিতে ফেলছিল, আমার দৃষ্টিগোচর হওয়ার সাথে সাথে আমি তাকে বলেছিলাম প্রিয় সন্তান ময়লা তুমি যেখানে-সেখানে ফেলতে পারোনা, ময়লা ফেলার জন্য আলাদা নির্দিষ্ট ডাস্টবিন আছে। ছেলে আমায় মিষ্টি হেঁসে সরি বলে আবার বাদামের খোসা তুলে নেই, সামনে বসে অটো-ট্যাক্সির ড্রাইভার আমাদের পিতা-পুত্ররের কথা শুনছিলেন আর আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে বলতে থাকে আপনার মত যদি সবাই হতো তাহলে চট্টগ্রাম শহরটা বদলে যেতো, পরিস্কার থাকতো।
আমার লেখা পড়ে হয়তো আপনাদের প্রশ্ন জাগতে পারে ছোটদের গড়ে তোলা সম্ভব কিন্তু যারা বড় হয়ে গেছে শিক্ষিত/অশিক্ষিত/ঘাড়তেড়া ও অনিয়মে চলতে অভ্যস্ত তাদেরকে কিভাবে শিখাবেন? আমি বলব সার্কাসের প্রাণী কীভাবে মানুষের কথা বুঝে! মানুষ না হয়েও। আর আমরা তো সৃষ্টির সেরাজীব, সচেতনতার মধ্যে দিয়ে আমরাও পারব। শিক্ষিত-অশিক্ষিত হতে শুরু করে নিম্ন-মধ্য-উচ্চবিত্ত সবাই কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে, তাই আমি বিশ্বাস করি সর্বসাধারণকে সচেতনতা ও আইনের কঠোরতার মাধ্যমে বোঝাতে হবে সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের সবাইকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। সাথে সাথে আহবান জানাই নগর পিতাকে, সৌন্দর্য বর্ধনে যে বাজেটের ঘোষণা করা হয় তার একটি অংশ বরাদ্দ দেওয়া হোক নগরবাসীকে প্রশিক্ষণ ও সচেতন করার জন্য। কারণ দুনিয়াতে সবচেয়ে বড় টেকসই বিনিয়োগ হলো শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ।
আল্লাহ হাফেজ শুভেচ্ছান্তে- » মোহাম্মদ খালেদ রশীদ সৌদি আরব মদীনা।