আজ মঙ্গলবার(২২ সেপ্টেম্বর )কারো বাড়ির সামনে অতিরিক্ত রাস্তা নির্মাণ না করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ সব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন,জমি সুরক্ষা করতে হবে। বেশি রাস্তা নির্মাণ করলে পানি চলাচলও বাধাগ্রস্ত হয়। বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা নিতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত রাস্তা নির্মাণ করা যাবে না। এই ধরনের মানসিকতার বাইরে আসতে হবে।’কৃষিজমি রক্ষায় নতুন রাস্তার চেয়ে বিদ্যমান রাস্তা সংস্কারে জোর দিতে হবে।চিন্তাভাবনা করে রাস্তা বানাতে হবে। যাতে এটা আমাদের যথাযথভাবে কাজে লাগে, যাতে এটার মেনটেন্যান্স করা যায়। রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে খুব সচেতন হতে হবে। আমরা আর্থিকভাবে এটা মেনটেইন করতে পারবো এবং অপ্রয়োজনীয় কাজ যেমন আমার বাড়ির পাশ দিয়ে যাবে, এই ধরনের মানসিকতার বাইরে আমাদের আসতে হবে। এই সম্পর্কে তিনি আমাদের সাবধান হতে বলেছেন।’’
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান,‘প্রধানমন্ত্রীর প্রথম মন্তব্য ছিল জামালপুরের সড়ক নিয়ে। সড়ক নির্মাণ ভালো। মেনটেন্যান্স আরও ভালো। তিনি বলেছেন, একটা ভারসাম্য তৈরি করতে হবে। শুধু নির্মাণ করলে হবে না। আমাদের আর্থিক সক্ষমতা, টেকনিক্যাল সক্ষমতারও মাপজোখ রাখতে হবে।যাদের অল্প জমি রয়েছে এবং সেই জমিতে বাড়িঘর করে থাকছে, সেসব জমি অধিগ্রহণ থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।এছাড়া ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খাঁচায় অন্যান্য মাছচাষের জন্য প্রশিক্ষণের তাগিদও দিয়েছেন সরকারপ্রধান।’
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আরোও জানান,৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও চট্টগ্রামে একটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি স্থাপন প্রকল্প’ অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু দেশেই নয় বিদেশ থেকে ফিরে যারা এসেছে কোভিটের জন্য বা অন্য কারণে তাদেরকেও ট্রেনিং দেন। যাতে করে তারা আবার ফিরে যেতে পারে। তারা যেন মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবার ফিরতে পারে।’প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ‘৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও চট্টগ্রামে একটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি স্থাপন (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প। এতে খরচ হচ্ছে ৩৩৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।