ব্রেকিং নিউজ » বাংলাদেশ ও সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা আজ

 
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সঙ্গে টেলিফোনে দ্বিপক্ষীয় ও সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এই টেলিফোন আলাপ আজ বিকেল ৫টায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।এদিকে সৌদি সরকার প্রবাসী শ্রমিকদের তাঁদের কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সমাধানে গত বুধবার ইতিবাচক সাড়া দেয়। এরপর গত শনিবার সৌদি এয়ারলাইনসের প্রথম ফ্লাইটে করে তিন শতাধিক যাত্রীর প্রথম দল দেশটির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যায়।
 
সম্প্রতি ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরানোর বিষয়টি সৌদি সরকার উত্থাপন করলেও টেলিফোনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সৌদি আরবে কয়েক দশক ধরে বসবাস করা ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে দেশটি ফেরত পাঠাবে না বলে গত শুক্রবার পুনরায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। ড. মোমেন বলেছেন, সৌদি সরকার আমাদের বলেছে যে যদি আমরা রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দিই, তাহলে তাদের উপকার হবে। কারণ তারা রাষ্ট্রহীন মানুষ রাখে না। তিনি জানান, সৌদি আরবের অনুরোধের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।তিনি বলেন, ‘সৌদি সরকার আমাদের বলেছে যে, যদি আমরা (রোহিঙ্গাদের) পাসপোর্ট দেই তাহলে তাদের উপকার হবে। কারণ তারা (সৌদি আরব) রাষ্ট্রহীন মানুষ রাখে না।’
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সৌদি আরবের অনুরোধের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
 
‘এর মানে এই নয় যে সৌদি সরকার তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে,’ বলেন ড. মোমেন।
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেক বছর আগে, প্রায় ৩৯ থেকে ৪০ বছর, তখনকার সৌদি কর্তৃপক্ষ দুর্দশা দেখে রোহিঙ্গাদের নিয়ে গিয়েছিল। তাদের কোনো পাসপোর্ট ছিল না এবং তারা আরবিতে কথা বলেন। ‘বাংলাদেশ প্রথমে তাদের পরিচয় যাচাই করতে চায়, কেননা আমরা অতিরিক্ত বোঝা নিতে চাই না।’
 
ড. মোমেন বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য বর্তমানে সৌদি কারাগারে থাকা ৪৬২ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশকে আহ্বান জানিয়েছে সৌদি সরকার।
 
বাংলাদেশ মিশন পরীক্ষা করে দেখেছে যে তাদের মধ্যে কেবল ৭০ থেকে ৮০ জনের বাংলাদেশের পাসপোর্ট রয়েছে।
 
ড. মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকা ওই ৭০ থেকে ৮০ জনকে ভ্রমণ ভিসা দিয়ে ফিরিয়ে আনবে বাংলাদেশ। অন্যদের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।’