আজ শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস ।দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সবাইকে নিয়ে একসাথে বিকশিত হোন, শরীরের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন। আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ’। কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে দিবসটি।জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৮১ সাল থেকে সারাবিশ্বে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হয়ে আসছে।
এই দিবসটির নিয়ে কৃষিমন্ত্রী জানান,‘বাংলাদেশ এখন আর খাদ্য ঘাটতির দেশ নয়। বিদেশী সাহায্যের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হয় না। কারণ সরকার খাদ্য নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।করোনায় খাদ্য নিয়ে কোন সংকটে পড়তে হয়নি। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় পণ্যের দাম কিছুটা বাড়লেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর দিকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। যার মাধ্যমে কৃষকদের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হবে।
এদিকে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে এক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে কৃষিমন্ত্রী আরোও জানান, ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তা নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে এবার আমরা পালন করতে যাচ্ছি বিশ্ব খাদ্য দিবস। এ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সেমিনার, কারিগরি সেশন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রমসহ কৃষি মন্ত্রণালয় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মহাপরিচালক কিউইউ ডঙ্গিইউ অনলাইনে বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া দেশ-বিদেশের কৃষিবিশেষজ্ঞ, পুষ্টিবিজ্ঞানী, কৃষি অর্থনীতিবিদরা অংশগ্রহণ করবেন। সারাদেশের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা অফিসের প্রায় ৫০০ শতাধিক কর্মকর্তা অনলাইনে সংযুক্ত থাকবেন। এ সেমিনারে প্রাপ্ত সুপারিশ অনুযায়ী করােনাকালে ও করােনা পরবর্তী খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শুধু খাদ্য উৎপাদন করলেই হবে না, খাদ্যের সরবরাহ ও প্রাপ্যতা এবং খাদ্যে সাধারণ মানুষের প্রবেশযােগ্যতাও নিশ্চিত করতে হবে। নাহলে খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। এ বিষয়গুলােতে বিশেষত পুষ্টিনিরাপত্তা ও খাদ্য অপচয়রােধে সবচেয়ে বেশি দরকার জনসচেতনতা বৃদ্ধি।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের বৃহত্তর জনগােষ্ঠীকে অবহিতকরণের জন্য মােবাইলে সচেতনতামূলক খুদেবার্তা পাঠানো, জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২০ প্রতিপাদ্য তাৎপর্য পােস্টার/বিলবাের্ড/ভিডিও/মেসেজ/ডকুমেন্টেশন প্রচার, ‘কৃষিকথা’ ম্যাগাজিনের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যথাযথভাবে দিবসটি উদযাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া বিশ্ব খাদ্য দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দুপুর আড়াইটায় প্যান প্যাসিফিক সােনারগাঁও হােটেলে একটি কারিগরি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, খাদ্য সচিব বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।