রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

 

আজ শনিবার(২১নভেম্বর)সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২০’উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ  করেন তিন বাহিনীর প্রধানগণ সরকারি বাসভবন গণভবনে  সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তিন বাহিনীর প্রধান, সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্য এবং তাদের পরিবারকে সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে দিনটি প্রতিবছর সশস্ত্রবাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গঠিত সশস্ত্র বাহিনী দেশের গর্ব। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ইতিমধ্যেই দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং শান্তিরক্ষী মিশনে কার্যকর ভূমিকার মধ্য দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার ‘ফোর্সেস গোল- ২০৩০’-এর আওতায় তিন বাহিনীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২০’উপলক্ষে তিনবাহিনী প্রধানগণ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান,১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করার পর সশস্ত্র বাহিনী বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় অনেক প্রশংসনীয় অবদান রেখেছে এবং চলমান কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব মোকাবেলার জন্যও কাজ করছে।করোনা মোকাবেলায় নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবময় ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী করোনাকালীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ অভিনন্দন জানান তিনি।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধানমন্ত্রী সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশ করোনা বিপর্যয়ের মুখোমুখি হওয়ার পর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, বিশেষ করে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর সদস্যরা যেভাবে বিভিন্ন জরুরি রোগী অথবা বিদেশ ফেরত লোকদের স্থানান্তর করার ক্ষেত্রে সেবা প্রদান এবং মানবিক কাজ করেছে সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার প্রতিরক্ষা নীতি অনুসরণ করে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’এর আলোকে তিন বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকায়নে কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন করছে সরকার।তিন বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন তিনি।একুশ শতকের ভূ-রাজনৈতিক ও সামরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে গত ১২ বছরে সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ।

গত প্রায় ১২ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের ভূমিকার জন্য তিন বাহিনীর প্রধানগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ সময় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবত সাক্ষাতকালে নিজ নিজ বাহিনীর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

এসময় তিন বাহিনীর প্রধান ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও লে: জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকীব আহমেদ চৌধুরী।