করোনা মহামারীর কারণে হচ্ছে না বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ

 
করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সশস্ত্র বাহিনীর সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজ (প্যারেড) হবে না।ক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ।রোববার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি বিবেচনা করে এবার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ না করতে প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন। তবে ঢাকা এবং জেলা-উপজেলাগুলোতে জনসমাগম এড়িয়ে ‘স্বল্প পরিসরে’ কিছু কর্মসূচির আয়োজন করা হবে বলে জানান সচিব।
 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানান, বিজয় দিবস সংক্রান্ত প্রথম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিস্তারিত কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী কুজকাওয়াজ না করে সীমিত পরিসরে কিছু কর্মসূচি আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়ার পর সে বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে দ্বিতীয় দফায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়।
সেই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার বিজয় দিবসে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা এবং দেশের সব জেলা-উপজেলায় ৩১ বার তোপধ্বনি হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ভোরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ ও জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যভিত্তিক পোস্টার প্রদর্শনী হবে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অল্প সংখ্যক দর্শনার্থীকে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।