আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল

আজ রোববার(১৪ফেব্রুয়ারি) করোনা মহামারির কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (কওমি ছাড়া) চলমান ছুটি আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের আজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ছিল। সেই ছুটি বাড়ানো হলো ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

এর আগে গতকাল শনিবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব গণমাধ্যমকে জানান, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি চলমান ছুটি আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ কারণে ১৫ বা ৩০ দিন নতুন করে ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে। তিনি সম্মতি দিলেই তা পাস হবে।’

এদিকে, করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষাস্তরে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। নতুন করে ছুটি বাড়লেও আগের মতোই চলবে পাঠদান।

অন্যদিকে, একই বছরের ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে সীমিত পরিসরে অফিস ও ১ জুন থেকে গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয়।

এদিকে চলমান করোনা পরিস্থিতি অবনতি না হলে চলতি মাসের মাঝামাঝি দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে বলে গত ২৭ জানুয়ারি জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আর ৩০ জানুয়ারি উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আশা করছি হয়তো আগামী মার্চ-এপ্রিল…মাসটা আমরা দেখবো, কারণ আমাদের দেশে মার্চ মাসেই ব্যাপকহারে করোনাভাইরাস শুরু হয়েছিল। এই ফেব্রুয়ারি মাস নজরে রাখব। যদি ফেব্রুয়ারিতে ভালো থাকে পরবর্তীতে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা ভাবনা আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এজন্য দরকার সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলা ও করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যা যা ব্যবস্থা আছে তা গ্রহণ করা। আর ভ্যাকসিন তো সবাই পেয়ে যাবেন।’

এর আগে ২২ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গাডলাইন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এ গাইডলাইন অনুসরণ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এরপর ২৮ জানুয়ারি সে প্রস্তুতি মনিটরিং বা পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশনা দেয়া হয় মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের।