সংঘাত, অভিযোগে ৫৫ পৌরসভার ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে শেষ হলো চতুর্থ ধাপে ৩৪টি জেলার ৫৫টি পৌরসভার ভোটগ্রহণ।।ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা।।বড় ধরনের সংঘাত, হতাহত, না ঘটলেও গোলাগুলি, বোমা বিস্ফোরণ, ভোট বর্জন, ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দেয়া, নানা এই অভিযোগ করেন। বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ।চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর নির্বাচনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে গোলাগুলিতে মাবুদ নামে এক ব্যক্তি নিহত এ ঘটনায় আহত হন আরও কয়েকজন। এসময় কাউন্সিলর প্রার্থীর বিক্ষুব্ধ কর্মীরা পটিয়া আনসার ভিডিপি ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ করে।এছাড়া নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌর নির্বাচনে বোমা বিস্ফোরণ ও সহিংসতায় মোহন (১৮) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। লালমনিরহাট ও পাটগ্রাম পৌর নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সেখানে ১০ জন আহত হন।

বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে (স্বতন্ত্র) মারধর, পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে বুথের ভেতর অবস্থান নিয়ে ভোটারদের নৌকা প্রতীকে সিল মারতে বাধ্য করার অভিযোগ করা হয়েছে। বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এই অভিযোগ করেন।

নাটোরের বড়াইগ্রামে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপি প্রার্থী ইসহাক আলী।ইসি সূত্র বলছে, এ নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য ৫০১ জন নির্বাহী ও ৫৫ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে ছিলেন। পুলিশের ১৬৭টি মোবাইল ও ৫৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম, ১৬৭টি র‌্যাবের টিম, প্রত্যেক পৌরসভায় গড়ে দুই প্লাটুন বিজিবি ও উপকূলীয় এলাকায় প্রতি পৌরসভায় এক প্লাটুন কোস্টগার্ড মোতায়েন ছিল। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি পৌরসভায় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে অতিরিক্ত র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়।