চট্টগ্রামে টিকা নিলেন এক লাখ ১৪, ৭৩৩ জন

চট্টগ্রামে করোনা টিকা গ্রহণের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেল। প্রথম দিকে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও করোনা টিকা নিয়ে গুজব ও নেতিবাচক সমালোচনা থাকায় টিকা নিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিল না কোন ধরনের আগ্রহ। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর থেকে চিকিৎসক ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের টিকা নেওয়ার পর থেকে সমস্ত গুজব ও সমালোচনা মিথ্যা প্রমাণ হওয়ায় ক্রমেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ বেড়ে যায়।এতে টিকাদানে শুরু থেকে অব্যবস্থাপনার নানা অভিযোগ থাকলেও শৃঙ্খলা ফিরে আসায় টিকা নিতে টিকাকেন্দ্রে সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে।

নগরীতে প্রথম ডোজের বরাদ্দকৃত টিকার বিপরীতে নিবন্ধন পূর্ণ হওয়ায় আবার টিকা না আসা পর্যন্ত নতুন করে টিকার নিবন্ধন বন্ধ রাখা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার টিকাদান কর্মসূচির নবম দিনে চট্টগ্রামে টিকা নিয়েছেন ১৮ হাজার ৩৪৩ জন। এর মধ্যে নগরীর ১১টি কেন্দ্রে ৮২৮০ এবং ১৪ উপজেলায় ১০ হাজার ৬৩ জন। সবমিলিয়ে গতকাল মঙ্গলবার পযর্ন্ত নগরীতে ৫৮ হাজার ১৪৩ এবং উপজেলায় ৫৬ হাজার ৫৯০ জনসহ মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৩৩ জন টিকা নিয়েছেন।

চট্টগ্রামে টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৬৭ জন। এর মধ্যে নগরীর ৯০ হাজার ৪০১ এবং ১৪ উপজেলায় ৮৬ হাজার ৮৬৬ জন। চসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে গতকাল মঙ্গলবার নগরের ১১টি টিকাদান কেন্দ্রের টিকা নেওয়া ৮ হাজার ২৮০ জনের মধ্যে চমেক হাসপাতাল কেন্দ্রে ১ হাজার ৫২৪ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২ হাজার ৬, বিমান বাহিনী হাসপাতালে ২৩০, নৌ-বাহিনী হাসপাতালে ৬৬০, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১১৮, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হাসপাতালে ৫০, পুলিশ হাসপাতালে ২৭০, চসিক জেনারেল হাসপাতালে ১ হাজার ৫৩০, মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতালে ৫৯০, চসিক বন্দরটিলা হাসপাতালে ৬৩২ এবং ছাফা মোতালেব মাতৃসদন হাসপাতালে ৬৭০ জন করোনা টিকা নেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে গতকাল চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলার ১০ হাজার ৬৩ জনের মধ্যে লোহাগাড়ায় ৩৪০, রাঙ্গুনিয়ায় ৮৯০, ফটিকছড়িতে ৬৪০, বাঁশখালীতে ৫১৭, আনোয়ারায় ৯২৯, সীতাকুণ্ডে ২ হাজার ২২, সাতকানিয়ায় ১ হাজার ৯, রাউজানে ১৬৯, মিরসরাইয়ে ৭১৫, চন্দনাইশে ৫৮০, বোয়ালখালীতে ৯৯৮, হাটহাজারীতে ১৮০, সন্দ্বীপে ২৮০ এবং পটিয়ায় ৭৯৪ জন টিকা গ্রহণ করেন।