এস,আহমেদ ডেক্স প্রতিবেদনঃ শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি)সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে একুশে পদক-২০২১ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশিষ্ট ২১ গুণীজনকে প্রদান করেন ।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের দেশ। এই বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সঙ্গে চলবে। কারও কাছে হাত পেতে নয়, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আত্মমর্যাদা ও সম্মান নিয়ে বিশ্বের বুকে চলব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ দিন বেলা ১১টায় এই পদক প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশিষ্ট ২১ গুণীজন ও তাদের পরিবারের (মরণোত্তর পদকপ্রাপ্ত) কাছে হস্তান্তর করা হয় দেশের জাতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক এ পুরস্কার।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই অর্জিত হয়েছিল দেশের সব সংগ্রাম ও স্বাধীনতা। তাই আগামী প্রজন্মকে পদকপ্রাপ্ত গুণীদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
তিনি বলেন, আজকের ভাষা দিবসে আপনারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে অবদানের জন্য ভাষার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আপনাদের অভিনন্দন জানাই। আপনাদের কাছ থেকে আগামী প্রজন্ম শিক্ষা নিতে পারবে। এটা শুধু আপনাদের সম্মাননা নয়, জাতির জন্য সম্মাননা, দেশের মানুষের জন্য সম্মাননা।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ভাষা আন্দোলন থেকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে সংগ্রাম করে যান। সেই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা মাকে মা বলে ডাকতে পারি, স্বাধীনতা অর্জন করি।
সরকারপ্রধান বলেন, করোনা মহামারি চলছে। যদিও ভ্যাকসিন আসছে, ভ্যাকসিন দিচ্ছি। এ বিষয়ে আরও গবেষণা চলছে। সে জন্য সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ করছি। অন্তত মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার বিষয়টি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালের একুশে পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে এ বছর একুশে পদক দেওয়া হয়।এ বছর ভাষা আন্দোলনে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে তিনজন, শিল্পকলায় সাতজন, ভাষা ও সাহিত্যে তিনজন, সাংবাদিকতা, গবেষণা, শিক্ষা, অর্থনীতি ও সমাজসেবায় একজন করে একুশে পদক প্রদান করা হয়।
ভাষা আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন- মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার), শামছুল হক, অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দীন আহমেদ। শিল্পকলায় পদক পান-কণ্ঠশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), আহমেদ ইকবাল হায়দার (নাটক), সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (চলচ্চিত্র), ড. ভাস্বর বন্দোপাধ্যয় (আবৃত্তি), পাভেল রহমান (আলোকচিত্র)।
মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুর রহমান খান ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর) পদক পাচ্ছেন। সাংবাদিকতায় অজয় দাশগুপ্ত, গবেষণায় অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় বেগম মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মীর্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান, ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য পদক পাচ্ছেন কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী ও গোলাম মুরশিদ।
https://www.facebook.com/awamileague.1949/videos/275487663933100