বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি,প্রণাম ও অন্তহীন ভালোবাসা।শিল্পী শ্রদ্ধেয় কালিকা প্রসাদ ভট্টাচার্য। তার সঙ্গীত জীবনের প্রাথমিক অংশ। তিনি তাল এবং সুর মধ্যে বেড়ে উঠছে। তবলা বাজানোর মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে তিনি সুরের জগতে প্রবেশ করেন।তবলার পরে ধাপে ধাপে অন্য বাদ্যযন্ত্র বাজানো শেখেন।তিনি কণ্ঠ্য সঙ্গীতে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। গান তার গভীর আগ্রহ বিষয় ছিল; অবশেষে তিনি বাংলার উত্তরে ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সঙ্গীতের প্রতি আকৃষ্ট হন।এখনও বহু মানুষের চলে যাওয়া বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। স্মৃতি হয়ে যেতে এখনও বড় সময় লাগে কোনও কোনও মানুষের। তেমনই এক মানুষ, এক শিল্পীর নাম কালিকাপ্রসাদ।কালিকা প্রসাদের জন্ম ১৯৭০ সালে, আসামের শিলচরে।স্কুল-কলেজের পাঠ সেরেছেন সেখানেই।পরের পড়াশোনা কলকাতার যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে।১৯৯৯ সালে কালিকা গড়ে তোলেন মাটির সোঁদা গন্ধমাখা লোকগানের দল ‘দোহার’।২০০১ সালে বেরোয় তাদের প্রথম অ্যালবাম, ‘বন্ধুর দেশে’।
তার বাংলাদেশের প্রতি যার ছিলো অকৃত্রিম টান, ভালোবাসা।যে কোনো অনুষ্ঠানে ডাক পেলেই ছুটে আসতেন তিনি। মাটির গহন থেকে গান ছেঁচে আনতেন কালিকাপ্রসাদ।এক একটা গানকে তিনি দেখতেন এক একটা চরিত্র হিসেবে।শৈল্পিক মাত্রা অতিক্রম করে মগ্ন থাকতেন গানের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে। ১৯৯৮ সালে থেকে শিল্প লোক সঙ্গীত এর উপর গবেষণার জন্য অনুদান পেয়ে ব্যাঙ্গালরে চলে যান।
কিন্তু, এমনটা তো কথা ছিলো না!কত গান যে এখনও হয়নি গাওয়া, কত কাজ যে এখনও বাকি!সাতচল্লিশ আর কত বয়স! হৃদমাঝারে থাকা এই মানুষটি।বীরভূমে একটি গানের অনুষ্ঠান সেরে জাতীয় সড়ক ২ ধরে ফিরছিলেন কালিকা ও তাঁর দল। বাংলা লোকসঙ্গীতে তাঁর অবদানের জন্য রাজ্যসরকার ২০১৩ সালে ‘সঙ্গীত সম্মানে’ ভূষিত করেন এই শিল্পীকে।তিনি ‘সা রে গা মা পা অনুষ্ঠানে বাংলা লোক সঙ্গীত প্রচার করেন এবং বিশ্বব্যাপী অভিনন্দন পান।জী বাংলা টিভি চ্যানেল ভট্টাচার্যের প্রতিভা প্রতিষ্ঠা করেছিল যে, কেবল তার শিল্প বাঙালিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং ভাষাগত বাধা ছিন্ন করে জনগণের কাছে সম্প্রসারিত হওয়া উচিত, যেমনটি পাঞ্জাবী লোক গানের হয়েছে।