আগামীকাল করোনা টিকা নেবেন রাষ্ট্রপতি

আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) আগামীকাল ১০ মার্চ বুধবার করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।বিকাল ৫টায় তিনি টিকা গ্রহণ করবেন।রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
চলতি বছর ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে প্রথমবারের মতো করোনার টিকা দেয়া হয়। পরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। দেশব্যাপী ১০০৫টি কেন্দ্রে করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিশেষ ব্যক্তি এবং মন্ত্রীরাও টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। যা বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

কোভিড-১৯ এর অতিমারির সময়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চালাতে থাকে। গত বছরই (২০২০) সালে করোনা প্রতিরোধে কার্যকর টিকা আবিষ্কারের ব্যাপারে সুখবর দিতে থাকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বে কোভ্যাক্স, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের মত প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবিষ্কৃত টিকার।

করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত টিকাগুলোর মধ্যে যেটি আগে আসবে সেটি দ্রুত পাওয়ার জন্য অগ্রিম টাকা দিয়ে চুক্তি করে রাখে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ৩ কোটি ডোজ করোনার টিকার জন্য গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর কথা। দেশে টিকার প্রথম চালান আসে গত ২৫ জানুয়ারি।