প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরকারী বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাত করেন-সুইডেন

আজ সোমবার (১৫ মার্চ)সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা মন্ত্রী পের ওলসন ফ্রিধ জানান,বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিশেষত ক্লিন এনার্জিতে বিনিয়োগ করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে এসে তিনি এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন।আমরা বাংলাদেশের শক্তি খাতে বিশেষত ক্লিন এনার্জিতে বিনিয়োগ করতে চাই,’ বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সুইডেনের মন্ত্রীর বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ কথা জানান। করিম বলেন যে ওলসন ফ্রিধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমকপ্রদ উন্নয়নের জন্য অভিনন্দন জানান,।

তিনি বলেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে চায়। ওলসন ফ্রিধ বাংলাদেশের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে তাঁর দেশের অংশীদারিত্বেও সন্তোষ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের তৈরী পোষাক সম্পর্কে তিনি বলেন, সুইডেন এবং বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই পারষ্পরিক স্বার্থে এ বিষয়ে বাণিজ্য করছে। সুইডেনের মন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে আরও পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তিনি বলেন যে তাঁর দেশের শ্রম খাতে নারীদের আরো অংশগ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে।

করোনা মহামারী প্রসঙ্গে ওলসন ফ্রিধ যেভাবে বাংলাদেশ সফলভাবে করোনা পরিস্থিতি সামলেছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত সাহসী একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।

সুইডেনের মন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের অগ্রাধিকার হল অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়ন করা। তাঁর সরকার সকলের জন্য খাদ্য নিশ্চিতকরণকেও গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের কর্মসূচি সম্পর্কেও সুইডেনের মন্ত্রীকে অবহিত করেন।

প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে প্রাথমিক স্তরে প্রায় শতভাগ বিদ্যালয়ে ভর্তির সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং কিছু ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ভর্তির সংখ্যা বেশী। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার রক্ষণশীল সমাজে থেকেও প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করেছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইন কার্যকর করার মাধ্যমে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছিলেন। দেশে ১শ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনে গুরুত্বারোপ করেছে।

কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি সদস্যরা এবং তার দলের নেতাকর্মীরা সকলেই এই পরিস্থিতিতে কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।