১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সায়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু না ফেরার দেশে,বিভিন্ন মহলের শোক

চট্রগ্রাম নগরের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনাব সায়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) ভোর পাঁচটায় এ পৃথিবীর সকল মায়ার বন্ধন ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান।
ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি সমগ্র চট্টগ্রাম জেলায় মিন্টু কমিশনার ও মিন্টু ভাই নামে পরিচিত।

আজ বিকেলে মরদেহ চকবাজার জয়নগরের বাড়িতে আনা হবে। এশার নামাজের পর প্যারেড কর্নারে জানাজা হবে। এরপর হজরত মোল্লা মিছকিন শাহের (র.) দরগাহ কবরস্থানে দাফন করা হবে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু। গত ১৩ মার্চ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ-
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নং চকবাজার ওয়ার্ডের পরপর ৭ বার নির্বাচিত কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু’র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন
এক শোকবার্তায় বলেন, সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু’র মৃত্যুতে আমরা একজন গুণী মানুষকে হারালাম। যিনি সব সময় জনগণের কাতারে ছিলেন এবং সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। এলাকার উন্নয়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন কাউন্সিলর মিন্টু। সেই সাথে সদা হাস্যজ্জোল, বিনয়ী ও নিরহঙ্কার একজন উদার মনের জননেতাকে আমরা হারিয়েছি। যার শুন্যস্থান কোনদিনও পূরণ হওয়ার নয়। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) ভোর সোয়া পাঁচটায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন । মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলেসহ অসংখ্য স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

। তিনি ১৯৭৭ সাল ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তৎকালীন চট্টগ্রাম পৌরসভার নির্বাচিত কমিশনার ছিলেন এবং পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালের জানুয়ারী হতে পর পর ৭ মেয়াদে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর ১৬নং চকবাজার ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন । সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিণ্টু ১৯৪৯ সালে চট্টগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি অত্যন্ত সাদাসিধে ও সহজ সরল জীবন যাপনে অভ্যস্ত, অসাধারণ স্মৃতি শক্তি, তীক্ষ্ম বৃদ্ধিমত্তা ও প্রখর মেধাসম্পন্ন এ মহান ব্যক্তি সর্বদা সমাজসেবা ও সাধারন মানুষের সেবায় নিয়োজিত ।জনাব সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিণ্টু মূক ও বধির বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মাধ্যমেই তার কর্মজীবনের সূচনা করেন । অবাস্তব শোনালেও সত্য এখনো পর্যন্ত জনাব মিন্টু’র আয় অথবা জীবিকা বলতে কিছুই নেই । সিটি কর্পোরেশন প্রদত্ত কাউন্সিলর ভাতা দিয়েই তিনি তার দৈনন্দিন জীবন অতিবাহিত করেন ।সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিণ্টু ছাত্রজীবন হতেই বামপন্থী রাজনৈতিতে জড়িয়ে পড়েন আর এখান হতেই তিনি যুক্ত হন সমাজসেবায়. তবে রাজনৈতিক ও সমাজসেবার শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি নগরীর মুরাদপুরে মূক ও বধির বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজ সমান দক্ষতায় চালিয়ে গেছেন । অত্যন্ত বাকপটু ও বাগ্মী এই সহজ সরল মানুষটি তার কথামালার জাদুতে শ্রোতাদের মোহনীয় ভাবে ধরে রাখতে পারেন । স্বল্পহারী ও মিষ্টভাষী এই মহান ব্যক্তি খুব সহজেই মিশে যেতে পারেন সমাজের সকল স্তরের মানুষের সাথে, এই জন্য তিনি সকলের কাছে মিন্টু ভাই নামে পরিচিত ।