রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ মে দিন নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া এই অদেশ দেন। এদিকে আজ আদালতে এ মামলার এজাহার, এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এসে পৌঁছালে বিচারক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় মাদানীর বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন সৈয়দ আদনান নামের এক ব্যক্তি। মামলায় মাদানীর বক্তব্য ফেসবুক থেকে যারা শেয়ার দিয়েছেন তাদেরও আসামি করা হয়েছে। বুধবার রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে নেত্রকোনা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পুলিশ জানায়, রফিকুল ইসলাম মাদানী নানা সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি রাষ্ট্রবিরোধী নানা উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেন। এতে জনমনে ভীতির সঞ্চার হয়েছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে।
নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ধর্মীয় বক্তা হিসেবে জনপ্রিয়। বয়সে যুবক হলেও শারীরিক গঠনের কারণে লোকজন তাঁকে ‘শিশুবক্তা’ বলে অভিহিত করে থাকেন। যদিও এই নাম নিয়ে তিনি নিজেও অনেক সময় আপত্তি করেছেন।
এর আগে গত ২৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ ১১ জনকে আটক করা হয়। কয়েক ঘণ্টা আটকে রেখে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।