বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি দেশের বাণিজ্যিক এলাকা খাতুনগঞ্জে দাম বাড়াচ্ছে

ছবি বিপ্লব সেন-
কাল শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান রমজানের আগেই বেশ কিছুদিন ধরে অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ। বেড়েই চলেছে চাল, ডাল, তেল, ছোলা, চিনি, পেঁয়াজ, চিড়া, নারকেলসহ রোজার প্রধান অনুষঙ্গ আরও বেশকিছু পণ্যের দাম। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভোগ্যপণ্যের মজুদ ভালো থাকায় দাম না বাড়ার কথা বললেও উল্টো চিত্র খাতুনগঞ্জে। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও সেই দামে সয়াবিন তেল মিলছে না বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। আবার পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম বেড়েছে। এ সময়ে ছোলার চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা ভালো মানের ছোলা খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৬৬ টাকায়। যা আগে বিক্রি হয়েছে ৫৮ থেকে ৬১ টাকায়। মাঝারি মানের যেসব ছোলা কিছুদিন আগেও প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬১ টাকায় বিক্রি হয়েছে, একই মানের ছোলা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬৩ থেকে ৬৫ টাকায়। অস্থির চালের বাজারও। প্রায় সকল মানের চালের দাম বেড়েছে প্রতিবস্তায় (৫০ কেজি) ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২৮ থেকে ১৩০ টাকা। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে মানভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা। প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। কিছুদিন আগেও প্রতিটি নারকেল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। গত সাত মাসে ৬০ হাজার ৩৩১ টন চিনি আমদানি হলেও বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৭ থেকে ৬৮ টাকা।কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক পণ্য মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে । এ জন্য মনিটরিং করা দরকার এখন থেকে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে মত তাদের। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি- আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ সংকটে প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১৯ হাজার ২১৮ টন ছোলা খালাস হলেও এরই মধ্যে প্রতি কেজিতে ছোলার দাম বেড়েছে ৫থেকে ৭ টাকা। রমজানকে টার্গেট করে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।