চট্টগ্রামে প্যাকেজ না নিলে মিলছে না টিসিবির পণ্য লাইনে মধ্যবিত্তরা

করোনা সংকট ও মাহে রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সস্তায় টিসিবির পণ্য কিনতে চট্টগ্রামেও নিম্নবিত্তের কাতারে এখন মধ্যবিত্তরা। মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে খেজুর-ছোলাসহ ছয়টি পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। মধ্যবিত্তরা এসব পণ্য কিনতে ভিড় করায় বাড়ছে চাহিদা। তবে অভিযোগ উঠেছে পূর্ণ প্যাকেজ ছাড়া অনেক পয়েন্টেই এ নিত্যপণ্য ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে না। যদিও এমন কোনো নিয়ম বেঁধে দেয়নি টিসিবি। যার যে পণ্যটি প্রয়োজন তিনি সেই পণ্যটিই টিসিবির বিক্রয় পয়েন্ট অথবা ট্রাক থেকে কিনতে পারবেন। কিন্তু কতিপয় ডিলার নিজ ব্যবসায়ীক স্বার্থে সাধারণ ক্রেতাদের জিম্মি করছেন।
মহানগরের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, মাহে রমজান উপলক্ষে টিসিবির পণ্য দিচ্ছে সরকার। চিনি, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, খেজুর, ছোলা, পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে।পুরো রমজান পর্যন্ত টিসিবির এ বিক্রি কার্যক্রম চলবে তবে কারও তেল, চিনি, ডাল প্রয়োজন, পেঁয়াজের দরকার নেই। আবার কারও পেঁয়াজ প্রয়োজন, অন্য পণ্য লাগবে না। কিন্তু টিসিবি ডিলারদের ট্রাক থেকে পণ্যগুলো এভাবে কিনতে পারছেন না। একসঙ্গে প্যাকেজের মতো তাদের সবই কিনতে হচ্ছে। এতে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
নিজেদের ব্যবসায়ীক সুবিধায় ডিলাররা এভাবে ইচ্ছেমতো পণ্য বিক্রি করছেন। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নিম্নআয়ের ক্রেতারা। অথচ ‘প্যাকেজ’ করে পণ্য বিক্রির কোনো নিয়ম নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিলারদের লোক জানান তাদের সব পণ্য কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে তাই আমরা প্যাকেজ এ পণ্য বিক্রি করছি। অভিযোগ উঠার পর টিসিবি কর্মকর্তারা মৌখিকভাবে ডিলারদের সতর্ক করলেও কোনো লাভ হচ্ছে না! কেউ শুধু একটি বা দু’টি পণ্য চাইলে তাকে ফেরত দিচ্ছে। আবার কোন কোন পয়েন্টে
সরবরাহ না বাড়ায় পণ্য না পাওয়ার অভিযোগ সর্বস্তরের মানুষের। তবে টিসিবি’ কর্মকর্তার দাবি, চাহিদা বাড়ায় ১৫টির পরিবর্তে ৩৫টি পয়েন্টে খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে।কম দামে টিসিবির পণ্য কিনতে চট্টগ্রাম নগরীর প্রেসক্লাবসহ নগরীতে তীব্র গরম উপেক্ষা করে দীর্ঘ লাইন নিম্নবিত্তের। মহামারী সংকটে এ কাতারে যুক্ত হয়েছে মধ্যবিত্তরাও। তাই প্রতিদিন বাড়ছে পণ্যের চাহিদা। কিন্তু সরবরাহ না বাড়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিজেদের একটু আড়াল করে লাইনে দাঁড়িয়েও খাদ্যসামগ্রী না পাওয়ায় হতাশ তারা।অভিযোগ উঠে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আগেই খাদ্যসামগ্রী বাইরে কালোবাজারে সরিয়ে ফেলেন লোক দেখানো কিছু খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। সূত্র জানায় প্রতিটি পয়েন্টে তেল, ডাল, চিনিসহ সাড়ে ৩০০ জন পণ্য পাওয়ার কথা। কিন্তু ভোক্তাদের অভিযোগ, ১০০ থেকে ১৫০ মানুষ পাচ্ছে পণ্য। তবে টিসিবি’ কর্মকর্তার দাবি, চাহিদা বাড়ায় নগরীর ১৫টির পরিবর্তে এখন ৩৫টি পয়েন্টে খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে।কম দামে টিসিবির পণ্য কিনতে আসা একজন নারী জানান, তিনদিন এসে চলে গেছি। আজ দাঁড়িয়েছি, কিন্তু দীর্ঘ লাইন। চাহিদার জিনিজসপত্র পাব কি-না, জানি না।অন্য আরেকজন জানান, আমার সামনে ৫০ জন রয়েছে। সে পর্যন্ত কি হয়…। এধরনের কিছু অনিয়ম এর সংবাদ ছাড়া ও
নগরীর প্রেসক্লাবের সামনে বৃষ্টি উপেক্ষা করে দীর্ঘ লাইন নিম্নবিত্তের। মহামারী সংকটে এ কাতারে যুক্ত হয়েছে মধ্যবিত্তরাও। তাই প্রতিদিন বাড়ছে পণ্যের চাহিদা। কিন্তু সরবরাহ না বাড়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিজেদের একটু আড়াল করে লাইনে দাঁড়িয়েও খাদ্যসামগ্রী না পাওয়ায় হতাশ তারা।
একজন নারী জানান, তিনদিন এসে চলে গেছি। আজ দাঁড়িয়েছি, কিন্তু দীর্ঘ লাইন। চাহিদার জিনিজসপত্র পাব কি-না, জানি না।
অন্য আরেকজন জানান, আমার সামনে ৫০ জন রয়েছে। সে পর্যন্ত কি হয়…।
প্রতিটি পয়েন্টে তেল, ডাল, চিনিসহ সাড়ে ৩০০ জন পণ্য পাওয়ার কথা। কিন্তু ভোক্তাদের অভিযোগ, ১৫০ থেকে ২০০ মানুষ পাচ্ছে পণ্য। তবে টিসিবি’ কর্মকর্তার দাবি, চাহিদা বাড়ায় নগরীর ১৫টির পরিবর্তে এখন ৩৫টি পয়েন্টে খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে।
0 Comments
Write a comment…