চারটি দেশ থেকে করোনা প্রতিরোধের টিকা আনার কাজ চলছে:পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজ সোমবার (১৭ মে)সবার টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে মিলে চারটি দেশ থেকে করোনা প্রতিরোধের টিকা আনার কাজ চলছে বলে জানান,পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ বিকেলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, সরকারি পর্যায়ে জুনের মধ্যে চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা পেতে কাজ চলছে। বেসরকারি পর্যায়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা পাওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান,ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট সময়মতো টিকা সরবরাহ করতে না পারায় প্রথম ডোজ নেওয়া প্রায় ১৫ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাই অন্য উৎস থেকে টিকা পেতে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা দেওয়ার কথা। তবে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত পেয়েছে মাত্র ৭০ লাখ। বাকি টিকা আসা পুরো অনিশ্চিত। এই অবস্থায় চীন, রাশিয়াসহ অন্য উৎস থেকে টিকা আনতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বাংলাদেশ।
তবে ভারত সরকার আগামী কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে করোনার টিকা সরবরাহ করবে বলে রোববার আনন্দবাজার পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় কূটনৈতিক সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে দেশটির সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে যেসব দেশে করোনা পরিস্থিতি নাজুক তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত আমাদের সাথে এ ধরনের কিছু জানায়নি। তারা সর্বশেষ জানিয়েছিল- যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাঁচামাল আনা ব্যাহত হওয়ায় ভ্যাকসিন উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটছে এবং তাদের টিকার অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ায় তারা এখন চুক্তি অনুযায়ী আমাদের এখন টিকা দিতে পারছে না।
এদিকে, চীন থেকে বাংলাদেশে চার থেকে পাঁচ কোটি ডোজ টিকা আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আশা করা হচ্ছে এই চীনা টিকার প্রয়োগ শুরু হবে ২৫ মে থেকে।