জাকেরুল ইসলাম ঢাকাঃ বুধবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন‘ এ সংগঠনকে ধ্বংস করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কেউ পারেনি এবং আগামীতেও পারবে না।’প্রধানমন্ত্রী বলেন‘আমাদের প্রতিজ্ঞা ছিল, বাংলাদেশ আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ও চিন্তা, সেটা কখনো ব্যর্থ হতে পারে না। সেটাকে ব্যর্থ করার চেষ্টা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নাম মুছতে চেষ্টা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখন সৃষ্টি হয়, তখন থেকেই মুসলিম লীগ আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে।’
‘আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, জিয়াউর রহমান, জেনারেল এরশাদ এবং খালেদা জিয়া প্রত্যেকে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চেয়েছেন। কত মানুষকে তারা হত্যা করেছেন? লক্ষ্য একটাই আওয়ামী লীগকে শেষ করা। কেন? আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে গরিব দুঃখী মানুষের পেটের ভাত হয়, মাথাগোঁজার ঠাঁই পায়, চিকিৎসা পায়, লেখাপড়ার সুযোগ পায়। এটা বোধহয় কিছু শ্রেণির পছন্দ না’ বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘এই সংগঠন মাটি ও মানুষ থেকে উঠে এসেছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে মুসলিম লীগ সরকারের বিরোধিতা করে এ সংগঠন গড়ে উঠেছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে যে সংগঠনের প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সেই সংগঠনকে এতো সহজে শেষ করে দেয়া যায় না। সাময়িক আঘাত আসে, এটা ঠিক।, ৪৭ সালের পর থেকে দেশে যা কিছু অর্জন, তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাসের সাথে এদেশের সংস্কৃতি ও অর্থনীতির ইতিহাস জড়িত। সরকারের পাশাপাশি শক্তিশালী সংগঠন থাকলে সব অর্জনই সম্ভব। আমাদের উন্নয়ন কোনো ম্যাজিক না, এটা আমাদের পরিকল্পনা, এটা আমাদের একটা দর্শন, একটা আদর্শ। আওয়ামী লীগের মত একটি শক্তিশালি দল সরকারকে সহযোগিতা করছে বলে দেশে দ্রুত অগ্রগতি লাভ করছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।‘আওয়ামী লীগের ওপর বারবার আঘাত এসেছে। কিন্তু যতবার আঘাত এসেছে, ততবার আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, গ্রামের মানুষকে সবার আগে গুরুত্ব দিয়েছি, যেটা জাতির পিতা চেয়েছিলেন- যে গ্রাম থেকে উন্নয়ন করা, গ্রামের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। গ্রামের মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে তাদের দুঃখ দূর করা। আমরা ঠিক সেভাবে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি বলেই কিন্তু আজ আমরা ধীরে ধীরে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছি, এগিয়ে যেতে পারছি।
প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, করোনা আমাদের যথেষ্ট কষ্ট দিচ্ছে সারা বিশ্বব্যাপী, এটা একটা বিরাট সমস্যা। তারপরও আমরা আমাদের অর্থনীতির গতিটা সব সময় ঠিক রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে।