প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে দেশে শুরু হয়েছে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন। সাত দিনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও কঠোর লকডাউনেও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে চলাচল করছে যাত্রীবাহী বাস ব্যক্তিগত যানবাহন, খোলা ট্রাক ও পিকআপ ।আর এসব যানবাহন ব্যবহার করে উত্তরবঙ্গের ১৯ জেলাসহ ২১ জেলার মানুষ নিজনিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। এছাড়া নিয়মিত বিরতিতে মহাসড়কে দেখা যাচ্ছে বন্ধ থাকা দূরপাল্লার গণপরিবহনও।
বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই ) সকালে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সড়কে বাস ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া ট্রাকে নিম্নআয়ের মানুষজন যাতায়াত করছে। বৃষ্টিতে ভিজে মানুষকে ট্রাকে যেতে দেখা গেছে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্বাভাবিক দিনের মতোই চলাচল করছে ব্যক্তিগত যানবাহন, বাস, ট্রাক ও পিকআপ। তবে রাতের দিকে মহাসড়কে বাসের সংখ্যা বেশি ছিল। আর যে সকল বাস বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে ভোরে ঢাকা থেকে রওনা হয়েছে সেগুলোও মহাসড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে।মহাসড়কে চলাচল করা চালকরা জানান, রাতে প্রশাসনের তেমন নজরদারি থাকে না। অনেক সময় মানবতার খাতিরে গাড়ি ছেড়ে দেয়। যে কারণে রাতে পরিবহন চালানো সুবিধা। তবে দিনের বেলায় প্রশাসনের নজরদারি বেশি থাকে। ফলে জেল-জরিমানার ভয় থাকে।
তারা জানান, জীবিকার তাগিদে এভাবেই লুকোচুরি করে পরিবহন চলাতে হবে। না হলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।