চমেক’র ১৫৬ চিকিৎসককে গণ-বদলি স্বাস্থ্যসেবা বিপর্যয়ের শঙ্কা

সায়মন শাহদাত চৌধুরী ডেক্স প্রতিবেদনঃ করোনার ভয়াবহতার ধাক্কা সামলাতে সরকার সারা দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসকদের জেলা ও উপজেলা হাসপাতাগুলোর করোনা ইউনিটে বদলি করেছে। সোমবার একাধিক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চমেক থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে ‘টক অব দ্যা টাউন’ ছিল চিকিৎসক বদলির বিষয়টি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপতাল থেকেও ১৫৬ জন চিকিৎসককে চট্টগ্রামের বিভিন্ন করোনা ইউনিটে বদলি করেছে। শুধু চট্টগ্রামের করোনা ইউনিটে নয়, ফেনী, খাগড়াছড়ি ও ফটিকছড়িতেও বদলি করা হয়েছে জানা যায়, চমেকের বিভিন্ন বিভাগের ১৫৬ চিকিৎসককে একযোগে বদলি আদেশে চমেক হাসপাতালে দেয়া হয়েছে ৩০ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দেয়া হয়েছে ৬০ জন, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে দেয়া হয়েছে ১৬ জন, ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আট জন, খাগড়াছড়ি জেলা হাসপাতালে ১৮ জন, ফেনীর দাগনভুঁইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন ও ফেনী জেলা হাসপাতালে ২৪ জনকে বদলি করা হয়।। চিকিৎসক নেতা বলেন, এমন গণবদলি অতীতে কখনো দেখা যায়নি। অথচ বর্তমানে চমেক হাসপাতালে ২০০ করোনা রোগী এবং ২০০০ হাজার সাধারণ রোগী চিকিৎসাধীন আছে। এখন এসব রোগীর কি অবস্থা হবে। তাছাড়া এ গণবদলির কারণে স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য চিকিৎসা দুটোই হুমকির মুখে পড়বে।একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং শিক্ষক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা জেলা সদর হাসপাতালে কী সেবা দিবেন। এগুলো অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত।
জানা যায়, বদলি আদেশকৃত চিকিৎসকরা নিজ নিজ কর্মস্থল, সেবা ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞ। এর মধ্যে উল্লেখ করার মত আছে- প্যাথলজিস্ট, মাইক্রোবায়োলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট, নিউরো সার্জন, জেনারেল সার্জন, দন্ত চিকিৎসক, চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ, নাক-কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। কিন্তু এখন এমন চিকিৎসকদের বদলি করা হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিংবা জেলা সদর হাসপাতালে। উপজেলা বা সদর হাসপাতালে এসব বিশেষজ্ঞ শিক্ষক-চিকিৎসকের কাজ কি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।