চট্টগ্রাম: করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন সফল করতে জেলা প্রশাসনের চলমান অভিযান চলে বৃহস্পতিবার ( ০৮ জুলাই আষাঢ় ২৩) চট্টগ্রাম নগরীতে কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়া ‘কঠোর বিধিনিষেধ’প্রতিপালনের গতি স্তিমিত হয়ে পড়ার কারণে এলাকায় এলাকায় ও পাড়ায় প্রশাসনের চলমান অভিযান চলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তার রোধে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাশনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।নগরের বিভিন্ন এলাকার দোকান, রেস্টুরেন্ট ও শপিংমলকে ৪৪ মামলায় ১৮ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। । টেরিবাজার বক্সি বাজার বাকলিয়া চকবাজার, চান্দগাঁও, সদরঘাট, কোতোয়ালী, পাঁচলাইশ, খুলশী, বায়েজিদ, পতেঙ্গা ও ইপিজেড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এসব জরিমানা আদায় করেন জেলা প্রশাসনের এগার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সেনাবাহিনী সহ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চকবাজার ও বাকলিয়া এলাকায় অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত ও সুরাইয়া ইয়াসমিন ,সদরঘাট ও কোতোয়ালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। অপরদিকে নগরের খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী ও নূরজাহান আক্তার সাথীচলছে।খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সব কিছু বন্ধ করার হিছিড় পড়ে। কিনতু লকডাউন দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়াকড়ি ও সাধারণ মানুষের ঢিলেঢালা ভাবের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে লকডাউনের ৮ম দিন চলছে। মানুষকে ঘরে রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকলেও সাধারণ মানুষ খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না লকডাউনকে। বেশিরভাগ মানুষ বের হয়েছেন লকডাউন কেমন চলছে তা দেখার জন্য! লকডাউন দেখতে গিয়ে আটকও হয়েছেন অনেকে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব পালনের সময় মানুষ রাস্তায় জড়ো হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সড়কে মানুষকে বিনা কারণে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, বিনা কারণে যাদেরকে রাস্তায় পেয়েছি তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে। যদি বিনা কারণে কাউকে রাস্তায় পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।