লঘুচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল (বজ্রমেঘ) মেঘমালা সৃষ্টি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্রবন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এজন্যে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিও অব্যাহত থাকতে পারে। এতে ভারি বৃষ্টিপাতে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে করে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত ৯২ পরিবারের ৩১০ জনকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। একই সময়ে পাহাড়ের ২০ ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ করার ক চলছ।চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮১.২ মিলিমিটার।
ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল,বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা আগামী তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার বেলা ১১টায় আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে, ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ৩২৮ মিলিমিটার।