শেখ কামাল ছিলেন খেলাধুলা ও সংস্কৃতিপ্রেমী: প্রধানমন্ত্রী

শেখ কামাল ছিলেন খেলাধুলা ও সংস্কৃতিপ্রেমী: প্রধানমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার, ০৫ আগস্ট গণভবনে শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ এবং ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২১ প্রদান’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ শেখ কামাল অডিটোরিয়ামে যুক্ত ছিলেন ।শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন শেখ কামাল ছিলেন খেলাধুলা ও সংস্কৃতিপ্রেমী ছিলেন। ব্যবসা বাণিজ্য বা অর্থ সম্পদের প্রতি তার কোনো আগ্রহ ছিলো না। দেশের প্রতি ভালোবাসা ও কল্যাণকর কাজ করা ছিলো কামালের প্রধান লক্ষ্য। বেঁচে থাকলে শেখ কামাল এদেশের যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে কাজ করতো। এসময় আগামীতে বিশ্ব ক্রীড়া অঙ্গনে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। চুয়াত্তর সালের ১৬ ডিসেম্বর একটি চক্রান্ত করে কামালকে গুলি করা হয়েছিল। তাকে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু সে যখন বেঁচে যায় তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়।শেখ হাসিনা বলেন, শেখ কামাল অত্যন্ত সাদাসিধে জীবন-যাপন করত। অথচ সে রাষ্ট্রপতির ছেলে বা প্রধানমন্ত্রীর ছেলে, জাতির পিতার ছেলে। কখনো বাবা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি সেজন্য অর্থ সম্পদের দিকে তার কোনো দৃষ্টি ছিল না। ব্যবসা-বাণিজ্যের দিকে তার কোনো দৃষ্টি ছিল না।

তিনি বলেন, দেশকে গড়ে তোলা, দেশের মানুষের পাশে থাকা বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা সাংস্কৃতিক অঙ্গন এগুলোই ছিল তার কাছে সবচেয়ে বড়। সে একজন সংস্কৃতি মনা, আবার রাজনীতিবিদ। কখনো বিলাস-বসন এসব দিকে তার দৃষ্টি ছিল না। এটা আমার বাবার শিক্ষা ছিল, মায়ের শিক্ষা ছিল। বাণিজ্য, অর্থ-সম্পদ এসব দিকে তার নজরই ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে জাতির জন্য আমার বাবা এত ত্যাগ স্বীকার করলেন, বছরের পর বছর জেল খাটলেন, সংগ্রাম করে এই দেশকে স্বাধীন করলেন, বাঙালি জাতিকে পতাকা দিলেন- সেখানে এই দেশের কিছু সংখ্যক মানুষই ষড়যন্ত্র করে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করল।

তিনি বলেন, সবচেয়ে ট্রাজেডি কামালের জন্য যে নূর আর কামাল একসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কর্নেল ওসমানির এডিসি হিসেবে কাজ করেছে। যখন বাসা আক্রমণ করে কামাল নিচের বারান্দায় চলে যায়। ও যখন দেখে যে নূর-হুদা এরা একসঙ্গে ঢুকছে ও তাদেরকে বলেছিল যে আপনারা এসে গেছেন? খুব ভালো হয়েছে। দেখেন বাসা কারা আক্রমণ করেছে। এই কথা শেষ করতে পারেনি, ওই নূরের হাতের অস্ত্রই গর্জে ওঠে। ওরা ওখানেই কামালকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে।

শেখ হাসিনা বলেন, এত বড় বিশ্বাস ঘাতকতা এই বাংলাদেশে ঘটে গেছে। ১৫ আগস্ট যদি আজ বাঙালির জীবনে না ঘটতো তাহলে, এই বাঙালি অনেক আগেই বিশ্বে মর্যাদা নিয়ে চলত। এই হত্যার পর বাংলাদেশকে ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেটা টিকে নাই। এর আগে, ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক ১০ ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়।