বেড়েছে সবজি চালের দামও বাজারে ক্রেতাদের চাপ
পথে প্রান্তরের সংবাদ»
বাজার ঘুরে দেখা , এই পণ্যের দাম বেড়েছে নানান অজুহাতে হঠাৎ করে এতটা দাম বেড়েছে, এর সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানাতে পারেননি বিক্রেতারা। লকডাউন খুলে দেওয়ায় জীবনযাত্রায় ফিরে এসেছে কিছুটা স্বাভাব্কি গতি। ফলে সাপ্তাহিক ছুটি সময় গত শুক্রবার ও আজ শনিবার বাজারে ক্রেতা সমাগম ছিলো অন্যান্য দিনের তুলনায় চোখে পড়ার মতো। বাজারে পণ্যের কমতি না থাকলেও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি চাল, মাছ ও মুরগির দাম। বাড়তির দিকে সবজির দামও। বিক্রেতারা সরবরাহ ঘাটতির দাবি করছেন। কিন্তু ক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। ক্রেতাদের দাবি, বাজারে অন্যদিনের মতো যথেষ্ঠ পরিমাণে সবজির সরবরাহ রয়েছে। তারপরও দাম বাড়িয়েছে বিক্রেতারা।
বিক্রেতারা বলেন, লকডাউন শিথিল হবার কারণে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা ও চাহিদা বেড়েছে। তার উপর বৃষ্টির কারণে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম। পরিবহন খরচ ও বেড়েছে তাই সবজির দাম বেড়ে গেছে। নগরের বাজার ঘুরে কাঁচাবাজারে ইলিশের ভরা মৌসুমেও দামে আগুন। একইসঙ্গে সব সবজিতে বাড়তি দিতে হচ্ছে ১০ টাকা ।প্রতিকেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। পটল ৫০ টাকা, বেগুন ৮০ / ৪০ টাকা, কচু ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা। ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া, চিচিঙ্গা, পটল, ঢেঁড়স। ২৫ থেকে ৩০টাকায় আলু। আর ২৫ থেকে ৩০ টাকায় পেঁপে। শসার দাম ঠেকেছে ৬০ টাকায়। কাঁচকলার হালি ২০ থেকে ২৫ টাকা। কচুর গাট বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। কাঁচাবাজারে ৫৫ টাকার নিচে মিলছে না চাল। পেঁয়াজ দেশি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ বাজারে ক্রেতাদের চাপ রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে নদী ও চাষের সব ধরনের মাছ। বেড়েছে ইলিশের দাম। কেজি ওজনের প্রতিপিস রূপালী ইলিশ মাছের দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে ইলিশের সরবরাহ বাড়লে দামও কমবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।তবে মুরগির দাম কমছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া একই সাইজের মুরগি ৫০০ টাকার বদলে আজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। সোনালী মুরগি ২২০ থেকে ২২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।