বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্রগ্রাম মহানগর, সহ সারাদেশ ও প্রবাসের সকল কমিটির একযোগে স্মারকলিপি প্রদান

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্রগ্রাম মহানগর, সহ সারাদেশ ও প্রবাসের সকল কমিটির একযোগে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্রগ্রাম মহানগর, ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি এবং দেশে ও প্রবাসের সকল কমিটির একযোগে স্মারকলিপি প্রদান করেন ।আজ সকালে ২৫ আগষ্ট বুধবার চট্রগ্রামের মাননীয় জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালরাত্রিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের সম্মুখিন করতে তদন্ত কমিশন গঠন এবং মরণোত্তর বিচার আইন প্রণয়নের দাবীতে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’ চট্রগ্রাম মহানগর পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম আদালত ভবনস্থ কার্যালয়ে মাননীয় জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম জনাব মোহাম্মদ মোমিনুর রহমান মহোদয়কে স্মারক লিপি প্রদান করেন। টন মোঃ কছির উদ্দীন প্রমুখ
স্মারকলিপি- বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্রগ্রাম মহানগরের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ঠ সাংস্কৃতিক সংগঠক লেখক, পিনাকি দাশ, বিশিষ্ঠ সংগঠক বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্রগ্রাম মহানগর সাধরন সম্প্রাদক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব সৈয়দ মাহমুদুল হক বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ঠ সাংস্কৃতিক সংগঠক লেখক,দেওয়ান মাকসুদ, আহামদ সেলিম দেলোয়ার হোসেন, সাংস্কৃতিক সংগঠক লেখক,শিব্বির আহমেেদ বাহাদুর, সংগঠক সায়েম উদ্দিন , সংগঠক ও লেখক জয়নাাল আবেদীন জয়, সংগঠকও সাংবাদিক মোঃ ফয়েজ রেজাউল করিম লিটন মোঃ কছির উদ্দীন প্রমুখ এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন উত্তর জেলা শাখার আহবায়ক মার্শাল কবির পান্নু সদস্য সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ খান এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সহ জেলা প্রশাসককে স্মারক লিপি প্রদান শেষে আদালত ভবন চত্তরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বলেন- বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্রষ্টা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালরাতে নৃশংস পন্থায় হত্যা করে। জাতি হারায় তার আজম্ম লালিত শ্রেষ্ঠ সন্তানকে। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন মনে করে কতিপয় বিপথগামী আত্মস্বীকৃত সেনা সদস্যরা সরাসরি খুনের সাথে জড়িত থাকলেও পর্দার অন্তরালে রয়ে গেছে সেসব কুশীলবরা, যারা পর্দার অন্তরাল থেকে ক্ষমতা ব্যবহার করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত সকল অর্জনগুলোকে উলটোপথে চালিত করে।সে ষড়যন্ত্র এখনো চলমান। এমন একটি বাস্তব পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়েই দেশ ও জাতি বিরোধী ষড়যন্ত্রের কূট কৌশল থেকে জাতিসত্বাকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। প্রয়োজন ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করা। তাই বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এর সকল নেতা কর্মীগন ১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধু সহ যারা হত্যার শিকার হয়েছেন, হত্যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যারা সংযুক্ত ছিল তাদের চিহ্নিত করে অনুসন্ধান ও তদন্ত করে বিচারের জন্য জাতির সম্মুখে প্রকাশের জন্য শক্তিশালী তদন্ত কমিশন গঠন করার জোড় দাবী জানাচ্ছে।
০১. বাঙ্গালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্রষ্ঠা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ বাঙ্গালী জাতির মুক্তি ও স্বাধীকারের জন্য তাঁর স্বীয় এবং পারিবারিক জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। জেল, জুলুম, হুলিয়া, নিপীড়ন, নির্যাতন সহ্য করে যিনি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও পাকিস্তানি জান্তার নিকট মাথানত না করে অসীম সাহসীকতার সাথে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পাশে থেকে স্বাধীণতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছিলেন, সেই অকুতভয় মহান নেতা, বাঙ্গালী জাতি সত্ত্বার আশা আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক। বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালরাতে বিশ্ব ইতিহাসের নৃশংসতম পন্থায় হত্যা করা হয়। জাতি হারায় তার আজন্ম লালিত শ্রেষ্ঠ সন্তানকে।
বিশ্ব ইতিহাসের এমন বর্বরোচিত পিতৃহত্যার দায় কতিপয় বিপথগামী আত্ম স্বীকৃত সেনা সদস্যদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে তাদের পৃষ্ঠপোষক এবং পর্দার অন্তরালের কুশিলবরা কুখ্যাত হত্যাকারীদের যেমন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পুরষ্কৃত করেছিলো, তেমনি দীর্ঘ ২৬ বছর ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে জাতির পিতাকে এই দেশে ইতিহাসের খলনায়ক বানানোর চেষ্টায় লিপ্ত ছিলো।
সুতরাং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন মনে করে যে, এটি নিছক কয়েকজন বিপথগামী সেনা সদস্যদের সংঘটিত কোন ঘটনা নয় এর পিছনে রয়েছে প্রতিক্রিয়াশীল পাকিস্তানী প্রেতাত্মাসহ ক্ষমতা লিপ্সু এদেশীয় কিছু জারজ সন্তানদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্রের মঞ্চায়ন। যে যড়যন্ত্র এখনো চলনান, যার জলন্ত প্রমাণ ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ঠের গ্রেনেড হামলাসহ ১৯ বার বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা। এমনি একটি বাস্তব পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র আত্ম স্বীকৃত খুনিদের বিচার ও ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়েই এই সকল দেশ ও জাতি বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রের কূট কৌশল থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। প্রয়োজন যড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন ও বিচারের সম্মুখিন করতে তদন্ত কমিশন গঠন করা। পাশাপাশি যে সকল খুনি ও ষড়যন্ত্রকারী ইতোমধ্যে মৃত্যবরণ করেছে তাদের জন্য মরণোত্তর বিচার আইন মহান জাতীয় সংসদে পাশ করে বিচারের ব্যবস্থা করা।
০২. স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি বাঙ্গালি জাতির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করেন এবং জীবন-যৌবন পাকিস্তানের কারাগারে কাটিয়ে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে ১৯৭০ এর নির্বাচনে বিজয়ের পরে, ১৯৭১ এর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে দেশের মানুষকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন।
অতঃপর ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিপূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করে। অতঃপর আন্তর্জাতিক চাপে পরাজিত পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হলে তিনি দেশে ফিরে জনগণকে নিয়ে জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা নিয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন।
০৩. অতঃপর বঙ্গবন্ধু দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি করার জন্য দেশের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোকে নতুনভাবে বিন্যাস্থসহ বিকেন্দ্রীকরণের জন্য এক নতুন গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কর্মসূচী গ্রহণ করেন। যার অংশ হিসেবে জেলা সরকার (গভর্ণর) গঠনের প্রক্রিয়া শেষে কার্যক্রম শুরুর প্রাক্কালে যখনই বঙ্গবন্ধু ৭৫ সালে ১৫ই আগষ্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে নতুন অর্থনৈতিক বিপ্লবের ঘোষণার উদ্যোগ নেন। ঠিক তার পূর্ব মূহুর্তে পাকিস্তানি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এদেশের কিছু উচ্চাভিলাষী নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনায় কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্য পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য মূলক ভাবে ৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের কালরাত্রিতে বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারে উপস্থিত সকল সদস্য এবং তাঁর রাজনৈতিক নেতৃত্বের অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদেরকেও নির্মমভাবে হত্যা করে। এমনকি ছোট শিশু রাসেলকেও সেই খুনিরা রেহাই দেয়নি। শুধু এখানেই খুনিরা থেমে থাকেনি।
০৪. অতঃপর খুনিরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয় ৪ নেতাকে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ঢুকে জঘন্যতম উপায়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এখানেই শেষ নয়, যাতে এ সকল জঘন্য হত্যা বা খুনের জন্য কোন আইন আদালতে বা কোন কর্তৃপক্ষের নিকট দায়াবদ্ধ হতে না হয় বা সংশ্লিষ্ট কাউকেই যাতে বিচারের মুখোমুখি হতে না হয় সে জন্যে মোশতাক-জিয়া চক্র খুনিদের দায়মুক্তি দিতে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাশ করিয়ে উক্ত হত্যাকান্ডের বিচার চাওয়া ও পাওয়া থেকে জাতিকে বা প্রবাসে থাকা বঙ্গবন্ধুর জীবীত কন্যাদের বঞ্চিত করেছিল। যা ছিল অমানবিক,লজ্জাস্কর এবং এদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কালো অধ্যায়ের সূচনা।
০৫. অতঃপর বঙ্গবন্ধুর কন্যা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে একুশ বছর পরে জনগণের রায় নিয়ে দেশের শাসনভার পেয়ে সেই কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে খুনিদের বিচারকার্য সফলভাবে সমাপ্ত করতে সক্ষম হয়েছেন এবং বিচারের রায়ও ইতিমধ্যে আংশিক কার্যকর করেছেন। কয়েকজন খুনি এখনও বিদেশে পলাতক রয়েছে। তাদেরকেও দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
০৬. বঙ্গবন্ধু হত্যা সহ ১৫ই আগষ্টে নিহতদের বিচার চলাকালে স্বাক্ষীদের জবানবন্দী, উপস্থাপিত দলিলাদি এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য মতে, খুনি ফারুক-রশিদ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক এন্থনি মাসকারেনহাস এর সাথে বিবিসে-তে সাক্ষাৎ প্রদানকালে জিয়াউর রহমানের ইন্ধন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। আন্তর্জাতিক সাংবাদিক লরেঞ্জ লিফশুলজের লেখাতেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জিয়ার জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি খুনি মাজেদ পলাতক এঅবস্থায় ধরা পরার পর ফাঁসির রায় কার্য্যকরের পূর্বে যে জবানবন্দি দিয়েছে তাতেও একই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও ইনডেমনিটি বিল পাশ, খুনিদের পুরষ্কার পদায়ন করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরী দেয়াতেও জিয়াউর রহমান এবং মোশতাক গংদের বঙ্গবন্ধু হত্যা সহ ১৫ই আগষ্টের নারকীর ঘটনার নেপথ্য ষড়যন্ত্রের সাথে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। তদুপরি ১৫ই আগষ্টের পরে মাহবুব আলম চাষী, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, কর্ণেল তাহের গংদের কর্মকান্ড এবং বক্তব্য বিবৃতি প্রমাণ করে যে, তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ছিল। সুতরাং এই মোশতাক, জিয়া, চাষী, তাহের, ঠাকুর গংরাই বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ ১৫ই আগষ্টের ঘটনার প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারী এবং পরিকল্পনাকারী তাতে সন্দেহের অবকাশ নাই।
০৭. ঘটনাক্রমে বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ ১৫ই আগষ্টের নারকীয় ঘটনার সম্মুখসারীর খুনিদের বিচার হলেও ষড়যন্ত্রকারী ও পরিকল্পনাকারী উপরোক্ত নির্দেশ দাতাদের কোন বিচার হয়নি বা সে সংক্রান্তে কোন তদন্তও হয়নি। বাস্তবতা এই যে, জাতির উপর লেপিত ১৫ই আগষ্টের কলঙ্ক মোচনের জন্য উল্লেখিত ষড়যন্ত্রকারী ও পরিকল্পনাকারীদের বিচার হওয়া আবশ্যক। সে লক্ষ্যে প্রকৃত তথ্য উদঘটানের জন্য উপযুক্ত ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন এবং সে জন্যে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিশন গঠন হওয়া আবশ্যক। উক্ত তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে ১৫ই আগষ্টের নারকীয় ঘটনার নেপথ্য দোষী ষড়যন্ত্রকারী ও পরিকল্পনাকারীসহ নির্দেশ দাতাদের নাম ও তথ্য উদঘাটন শেষে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন। এ বিচারের জন্য ইতিমধ্যে যদি দোষী কেউ মৃত্যুবরণ করে থাকে তাদের বিচারের জন্য মরণোত্তর বিচার আইন প্রণয়ন হওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় জাতি ১৫ই আগষ্টের কলঙ্কের দায় থেকে অনাগত ভবিষ্যতেও কখনই মুক্তি পাবে না।
এমতাবস্থায় বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’ এর সকল নেতা কর্মীগণ ১৫ই আগষ্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সহ যারা হত্যার শিকার হয়েছেন, তাদের হত্যার নেপথ্য ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনার সাথে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে যারা সংযুক্ত ছিল তাদের চিহ্নিত করনের জন্য অনুসন্ধান ও তদন্ত করে বিচারের জন্য জাতির সম্মুখে উপস্থাপনের জন্য একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিশন গঠন করার জোর দাবী জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি মৃত অপরাধীদের শাস্তি বিধানের জন্য মরণোত্তর বিচার আইন প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নিকট জোর দাবী জানানো হচ্ছে।