চট্টগ্রামের মাইল এর মাথা ইপিজেট খোলা ড্রেন যেন মৃত্যুফাঁদ
মাইল এর মাথা ইপিজেট তবুও সিসিকের খোলা ড্রেন আরেকটি দূঃঘটনার হাতছানি সরজমিন ঘুরে দেখা
নাজমুল শামীম লেখক,সংগঠক ইতিহাস গবেষক,শিল্পী ও সাংবদিক – দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সর্বত্র কর্তৃপক্ষের নানা অব্যবস্থাপনায় খোলা ড্রেনে রীতিমত হা করে আছে মৃত্যুফাঁদ। হাজার হাজার পথচারির মুখরিত এসড়কটি যেন দেখার কেউ নেই বিশাল খোলা অবস্হায় বিপদজনক ড্রেন যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্নক দূঃঘটনা গত ২ মাসে নগরীর বিভিন্নস্থানে শুধুমাত্র ড্রেনে পড়েই কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ড্রেনের পানিতে হারিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়নি গত এক মাসেও।
সর্বশেষ গত সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর)রাতে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় রাস্তার পাশ ধরে হাঁটতে গিয়ে খোলা ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হয় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাদিয়া। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা অনুসন্ধান করে তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। নগরজুড়ে ড্রেনগুলো স্ল্যাব বা ঢাকনাবিহীন মৃত্যুফাঁদ হয়ে থাকলেও দায় এড়াচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে দীর্ঘ তিন বছর ধরে চলমান রয়েছে জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্পের কাজ। এর পাশাপাশি নগরীতে নির্মিত এচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এসব চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে নগর জুড়ে খোড়াখুঁড়ি এবং খানাখন্দকে একাকার হয়ে আছে। এর মধ্যে বিভিন্নস্থানে সাধারণ মানুষের নিরাপদ চলাচলের জন্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় ড্রেনগুলো মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এসব মৃত্যুফাঁদে পড়ে একের পর এক সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে