চট্টগ্রামের শম্পা চক্রবত্তী একজন সফল নারী উদ্যোক্তার গল্প

চট্টগ্রামের শম্পা চক্রবত্তী একজন সফল নারী উদ্যোক্তার গল্প
বিপ্লব সেন গুপ্ত প্রতিবেদনঃ পরিশ্রম, নিষ্ঠা, সততা আর মেধাকে পুঁজি করে পা বাড়িয়েছেন চট্টগ্রামের এক নারী উদ্যোক্তার নাম শম্পা চক্রবত্তী যিনি ঢাকা জেলার দোহার জয়পাড়ার এক মুক্তিযুদ্বার সন্তান।এই এগিয়ে চলাই আজ তাকে ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোক্তা অদম্য একজন নারী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে এই সমাজে। শম্পা চক্রবত্তী নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে প্রতিকূলতাকে জয় করে আজ স্বাবলম্বী নারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি নিজে স্বাবলম্বী হয়ে আরও অজস্র নারীকে কর্মসংস্থান করে দিয়েছেন। জয়পাড়া ডিগ্রী কলেজ থেকে বিএ পাস করে চট্টগ্রামের বউ হয়ে গৃহিণী হিসেবেই চলছিল তার জীবন। তিনি দুই সন্তানের জননী। বছরখানেক আগে ‘স্বপ্নের কেনাকাটা’ নামে একটি পেজ খুলে শুরু করেন অনলাইন ব্যবসা। ধীরে ধীরে বিক্রি বাড়তে থাকে তার। সব কিছু সামলিয়ে ব্যবসায় সময় দিয়ে তিনিও করোনাকালীন সময়ে বিক্রি করেছেন তিনি বলেন, আমি আমার ব্যবসার শুরুটা করি মাত্র ১০ পিস শাড়ি নিয়ে।
প্রথম ধাপে ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বেশ কঠিনই ছিল। তবে আমার বিজনেস শুরু হওয়ার কিছুদিন পরই ছিল রোজার ঈদ। তার ওপর দেশে শুরু হয় করোনাভাইরাসের মহামারি। সবাই তখন ঝুঁকে পড়ে অনলাইন কেনাকাটায়। আমিও বেশ সাড়া পেতে শুরু করলাম। আমার ব্যবসার গতিও বেড়েছে অনেক।
করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে দুই ছেলেমেয়ের স্কুল আর সবকিছু বন্ধ থাকায় খুব অবসর সময় কাটছিল । ঠিক তখন মাথায় আসে অনলাইন বিজনেসের। উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্সের হাজারো নারীর দিন বদলের গল্প অনুপ্রাণিত করে আমাকে। এরপর প্রথম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করি আর সেই ২০ হাজার টাকা পুঁজি আমার ব্যবসার চলছে । তিনি বলেন, প্রথমে আমি থ্রিপিস ,শাড়ি, ম্যাক্সি, কুর্ত্তি আর ব্লাউজ । ‘ নিত্যপণ্য অনলাইনে বেচাকেনা হচ্ছে । তাই চাহিদা রয়েছে, এখন প্রয়োজন উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আনা। আমি মনে করি জীবন বাধাঁর মধ্যে আসবে তবে সাহস নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখিয়েছেন। সবার আমার পাশে থাকবেন আর স্বপ্নের কেনাকাটা কে এগিয়ে নিয়ে সকল নারী উদ্যেক্তাদের সাহায্য করতে সহযোগিতা করবেন।নানান কথার মাঝে তিনি বলেন সাফল্য একদিনে আসে না। সাফল্যর জন্য প্রয়োজন সময়, মেধা আর ধৈর্যের। বিভিন্ন স্থানের বড় বড় অর্ডার পেতে শুরু করেন ‘স্বপ্নের কেনাকাটা’। ধীরে ধীরে এ ব্যবসার প্রসার ঘটতে থাকে। পুঁজির পরিমাণও বেড়ে যায়। এখানেই ‘স্বপ্নের কেনাকাটা’ থেমে নেই ছোটবেলা থেকেই কিছু করার প্রবল ইছায় এখন বাস্বতায় সমাজের পিছিয়ে পড়া, অবহেলিত, নির্যাতিত নারীদের নিয়ে সমাজ বিনির্মাণে কাজ করতে চাই। তাদের স্বাবলম্বী করতে চাই। আর এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমার এই পথচলা অব্যাহত থাকবে। সামাজিক ব্যবস্থায় নারীরা এখনো পিছিয়ে রয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে নারীরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছেন না। ইচ্ছে আছে নারীদের কল্যাণে, সহায়তায় ও প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করার। নিজের স্বল্প পুঁজি খাটিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ করতে পেরেছি। সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে হয়তো নারীদের উন্নয়নে আরেকটু এগোতে পারব।