বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সুগভীর, বহুমাত্রিক ও রক্তের অক্ষরে লেখা। উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অকৃত্রিম ও অতুলনীয়, যার সাথে অন্য কোনো দেশের সম্পর্কের তুলনা চলে না’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের এক কোটি মানুষকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল, মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে ভারতীয় সেনারা প্রাণ দিয়েছিলেন, যা কখনো ভুলবার নয় বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, তত দিন ইতিহাসের পাতায় এটি লিপিবদ্ধ থাকবে।আমাদের তরুণ সমাজ আগামীর দৃশ্যপট বদলে দিয়ে এ উপমহাদেশের জন্য সোনালি ভবিষ্যৎ বয়ে আনবে বলে আশা প্রকাশ করে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে চলেছেন। তরুণদলের সদস্য হয়ে ভারত ভ্রমণে অনেক কিছু জানার ও শেখার আছে।
রোববার (১৫ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীতে ভারতীয় হাইকমিশনে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন ২০২২’র প্রক্রিয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সভাপতিত্বে উপ-হাইকমিশনার বিনয় জর্জ, আগের বছরগুলোতে ভারত সফরকারী তরুণদলের আমন্ত্রিত সদস্যবৃন্দ এবং মিশনের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি অর্থনীতির যুগে সমগ্র ভারতবর্ষে আমরা ধনী ছিলাম। ইউরোপে বছরে একটি বা দু’টি ফসল হতো, আমাদের হতো তিনটি। আমরা ধনী ছিলাম বিধায় এখানে পর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ইংরেজ, ফরারিরা এসেছে এবং ধনীর বাড়িতেই ডাকাত পড়ে, যদিও তাদের সবাইকে আমি ডাকাত বলছি না। এরপর অর্থনীতি শিল্পনির্ভর হয়ে যাওয়ার পর দৃশ্যপটটা বদলে যায়। তখন আমাদের কাঁচামাল ব্যবহার করে ইউরোপীয়রা শিল্প গড়ে ধনী হয়।আমাদের তরুণ সমাজ এই দৃশ্যপট বদলে দিয়ে আমাদের সোনালি যুগ নিয়ে আসবে, সেই প্রত্যাশা করি—বলেন মন্ত্রী।