সিলেট সংবাদদাতাঃ অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট জেলায় বন্যা শুরু হয়েছে। তবে জেলার অভ্যন্তর দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বৃহস্পতিবার (১৯ মে) কিছুটা হ্রাস পেয়েছিলো।
খানিকটা লোভা ও ধলাই নদীর পানিও। তবে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রতিটি পয়েন্টই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের পানি নামতে থাকায় নতুন করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট জেলায় বন্যা শুরু হয়েছে। তবে জেলার অভ্যন্তর দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বৃহস্পতিবার (১৯ মে) কিছুটা হ্রাস পায় কিন্তু
ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।জানা গেছে, ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে গত ৮ দিনে ২ হাজার ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেখান থেকে নেমে আসা ঢলেই বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিলেট নগরীতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। এর আগে রাতেও ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সিলেটে বন্যার আট দিন পেরিয়ে গেলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাতে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার ভোর থেকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
টানা ৮ দিন ধরে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট নগরসহ জেলার ১৩টি উপজেলায় প্লাবিত হওয়া হাজার হাজার গ্রাম পানিতে থৈ থৈ করছে। এতে হাজার হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
খানিকটা হ্রাস পেয়েছে সারি, লোভা ও ধলাই নদীর পানিও। তবে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রতিটি পয়েন্টই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের পানি নামতে থাকায় নতুন করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।বন্যা কবলিত এলাকা ও আশ্রয় কেন্দ্রে স্বাস্থ্য সেবা এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ওষুধ, খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হচ্ছে।বন্য পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ত্রাণ সামগ্রীর প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সচিবের সঙ্গে আলাপেরে পরিপ্রেক্ষিতে ২দিনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর হতে ত্রাণকার্য নগদ অর্থ ২৫ লাখ টাকা, ত্রাণকার্য চাল ২০০ মেট্রিক টন এবং ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানানো হয়। বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোতে উপ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।নগরের বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় নগর ভবনে কাউন্সিলরদের নিয়ে জরুরী সভায় বসেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বৈঠকে পানিবন্দি মানুষের তালিকা প্রণয়ন, খাদ্য ও শিশু খাদ্য সরবরাহ, স্বাস্থ্য সেবায় ৩টি মেডিক্যাল টিম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে এবং আশ্রয় কেন্দ্র প্রয়োজনে বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়।