মাত্র ১ ঘণ্টার বৃষ্টিতে অথৈয় পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম

শনিবার (২১ মে) ভোর থেকেই চট্টগ্রামের আকাশ ছিল মেঘলা। সকাল ছয়টার পর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। আর সাড়ে আটটা দিকে শুরু হয় দমকা হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত।চট্টগ্রাম নগরীতে ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিতেই বিভিন্ন এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে যায়। সড়কের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি-দোকানেও পানি ঢুকে একাকার। নালা টপকিয়ে বিভিন্ন উঁচু এলাকার সড়কেও পানি জমতে দেখা গেছে। বর্ষার আগেই অনিয়মিত এই বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন নগরীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী ২১ মে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪৮ মিলিমিটার। প্রথম দিকে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়ের পর সাড়ে ৮টা থেকে ঝড়ে এক পশলা বৃষ্টি। এরপর থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ে। বেলা সাড়ে ১২টার পর রোদের দেখা মিলেছে।

তবে হালকা বৃষ্টি পাতের পরপরই চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার, রসুলবাগ আবাসিক, সল্টগোলা ক্রসিং ৫ নম্বর গেট, ২ নম্বর গেট, বাকলিয়া পিডিবি কলোনী এলাকা, বাদুরতলা, জঙ্গীশাহ মাজার গেট, বড় গ্যারেজসহ নিচু এলাকগুলোতে জলজট সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি অলিগলির সড়কে জমে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ে সেখানকার বাসিন্দারা। এ সময় বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।

এদিকে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় বৃষ্টিতে পানি জমেছিল আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের ওপরেও। তবে সকাল সাড়ে ১০টার পরে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় পানি নামতে শুরু করেছে।

চট্টগ্রাম প্রধান আবহাওয়া কার্যালয়ের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস দুপুর ৩টা নাগাদ জানানো সম্ভব হবে।

এদিকে হালকা বৃষ্টিতে জল জমাট বাধায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।