রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন পালন

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবমাতা শেখ ফজিলাতুনন্নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ৭১ এর যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীর এখনও রাজনীতিতে থাকার বিষয়টি ‘বিস্ময়কর’ বলে মন্তব্য করে বলেন
আমাদের সৌভাগ্য তিনি আজ বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছেন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ যা ছিল এখন তার অনেক পরিবর্তন, অর্জন ও আরোহন হয়েছে। একটি গরীব দেশকে তিনি স্তরে স্তরে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছেন এবং তার লক্ষ্য বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা। তার এই লক্ষ্য অর্জনে অবশ্যই আমরা তার হাতকে শক্তিশালী করবো এবং ঐক্যের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করবো।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের অবুঝ শিশু রাসেল হত্যার যে বেদনাদায়ক ট্র্যাজেডি ঘটেছে তা এখনো আমরা মানুষের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারিনি। এজন্য এই হত্যাকাণ্ডের বেনিফিসিয়াররা মাঠের রাজনীতি করতে পারছে। ৭১ এর যুদ্ধাপরাধী জামাত এখনো কীভাবে রাজনীতি করে তা একটি অবাক বিস্ময়। এই অবাক বিস্ময়ের মূল খলনায়ক জিয়াউর রহমান, এরশাদ এবং অতঃপর খালেদা জিয়া ও তার কুসন্তান তারেক জিয়া। এদের প্রত্যেককেই মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে।

মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, দেশ-বিদেশে বিএনপি-জামাত ও তথাকথিত সুশীলরা বাংলাদেশের মানবাধিকার গেল গেল বলে হৈ-চৈ শুরু করে দিয়েছেন। এর মধ্যেও বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যক ১৬০ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হওয়াটা যারা মানবাধিকার গেল বলে হৈ-চৈ করেছে তাদের গালে শক্ত একটি চপেটাঘাত।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শেখ মো. ইসহাক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী ও চন্দন ধর প্রমুখ।