স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান,এই মুহূর্তে দেশে কোন অক্সিজেন সংকট নেই। আমাদের দেশের অক্সিজেন ব্যবস্থাপনা অন্য কোন দেশের উপর নির্ভর করে না।স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার মহাখালীর বিসিপিএস প্রাঙ্গনে “কোভিড-১৯, দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও জনসচেতনতা” শীর্ষক বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক জানান,‘সারা বছর ভারত বা অন্য কোন দেশ থেকে অক্সিজেন আমদানী করার প্রয়োজন পড়েনি। করোনার পিক অবস্থায় ভারত থেকে কিছু অক্সিজেন আমদানী করা হয়েছিল। এখন ভারতের কঠিন সময় যাচ্ছে। এই সংকটে ভারত অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করলেও এ নিয়ে আতংকিত হবার কিছু নেই। আর তাছাড়া লিকুইড অক্সিজেনের তুলনায় গ্যাস অক্সিজেনের উৎপাদনে আমাদের সক্ষমতা অনেক বেশি।’
তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে দৈনিক চাহিদা এক থেকে দেড়’শ টন মাত্র। চাহিদা দ্বিগুণ হলেও অক্সিজেন সংকট এই মুহুর্তে হবে না। তবে, রোগী সংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পেলে তখন ভিন্ন চিত্র দেখা দিতে পারে। এজন্য রোগী যাতে না বাড়ে সেদিকে সকলের মনোযোগী হতে হবে।’‘গ্যাস অক্সিজেনে এখন দিনে আড়াই’শ টন অক্সিজেন উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। লিকুইড অক্সিজেন দেড় থেকে দুই’শ টন উৎপাদন হয়। দেশের বেসরকারি মেডিকেল খাতেও ৪০-৫০ টন অক্সিজেন উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলিকেও নেয়া যাবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সংকটকালীন সময়ে চুক্তি অনুযায়ী টিকা দিতে না পারলে বা বিলম্বে দিলে সেজন্য সরকার বসে থাকছে না, বরং সরকার চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্যর ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশগুলির সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক জোড়ালোভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই আশানুরূপ কিছু ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
দেশে লকডাউন একদিকে কাজে লাগছে, বলা চলে লকডাউন থাকায় সংক্রমণ এখন কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে লকডাউনের কারণে ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের বা যারা কাজ করে চলে তাদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে সরকার স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে দোকান-পাট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা রাখছে বলেও জানান তিনি।
ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।