নিয়মিত ব্যায়াম করুন, করোনাকে জয় করুন

ফয়েজ আহমেদ বিশেষ প্রতিনিধিঃ নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ কমে। দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজকর্ম ও দুশ্চিন্তার ফলে আমাদের শরীরের স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন আবার ইমিউনিটি কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে ৪-৬ দিন গড়ে ৪৫ মিনিট করে ব্যায়াম করলে এন্ডরফিন ও ডোপামিনের নিঃসরণ বাড়ে। এর ফলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমে এবং মনমেজাজ ভাল থাকে। শরীরের শ্বেতকণিকার সংখ্যা বাড়ে, ফলে জীবাণুদের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। সেজন্য ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয় না।
ব্যায়াম করলে শ্বাস- প্রশ্বাস দ্রুততর হয়, তাজা বাতাস জীবানুদের বের করে দিতে সাহায্য করে।রোগ প্রতিরোধে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। করোনা কালীন সময়ে বিশেষজ্ঞ’রা পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করার উপর জোরদার করেছেন.. এছাড়া আমরা সবাই জানি ব্যায়াম আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সুতরাং সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম করুন.. ব্যায়াম করার জন্য যে সব সময় বিশাল বড় জায়গা লাগবে তা কিন্তু না.. ছোট্ট একটু জায়গার মধ্যে-ও অনেক ধরণের ব্যায়াম করা যায়..।সুতরাং নামাজ পড়ুন, ইফতার এর পর প্রচুর পানি পান করুন, ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান আর আপনার পছন্দ মত যে কোন একটা সময়ে প্রতিদিন ব্যায়াম করুন এবং সুস্থ জীবন যাপন করুন।

করোনাকে জয় করতে ব্যায়ামের পাশাপাশি অতিরিক্ত যেসব খাবার ভাইরাস কে দমন করতে সহায়তা করে তার একটি তালিকা দেয়া হলো ঃ
আম, ছোট কমলা, আনারস, কমলা লেবু, লেবু, পাতিলেবু, এভোকাডো, রসুন।গরম পানির সাথে মধু মিশ্রিত পানি,করোনা পজেটিভ হলেও এসব খাবার করোনামুক্ত করতে বেশ সহায়ক।কি করবেন – সকালের রোদে ৯-১১ টা পর্যন্ত ১৫-৩০ মিনিট রোদ লাগাবেন। এ সময়ের রোদে ভিটামিন ডি আছে, যা করোনার বিরদ্ধে যুদ্ধে ১০০ ভাগ সফল।ফুসফুস সচল, মজবুত এবং ভাইরাস বের করতে যে খাবারের কোন বিকল্প নেই :গ্রিন টি, মাছ, কাচাহলুদ, আদা, রসুন, ব্রুকলি, তুলসী পাতা, ফল ও শাক সবজি।শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে যে সব ব্যায়াম করবেন ঃ চিত্রে দেয়া ব্যায়াম ছাড়া ও জোরে হাঁটা বা দৌড়ানো, পায়ের টো টো এর উপর ভর করে উঠবস করা, দু পা কে জোর করে বুকের সাথে লাগিয়ে দুহাত দিয়ে শক্ত করে ধরে বসে বড় বড় করে শ্বাস নেয়া, মেরুদন্ড ঠিক রাখার জন্য সোজা দাঁড়িয়ে হাটু না ভেঙ্গে দু পায়ের আঙ্গুল ধরা শ্বাস বন্ধ অবস্হায়, দাঁড়িয়ে শ্বাস ছাড়তে হবে।
হাঁটু গেঁড়ে বসে শ্বাস নিয়ে সাধ্যমত শ্বাস ধরে রেখে আসতে আসতে ছাঁড়তে হবে। এভাবে প্রতি সেট ৫-৬ বার করুন।
ব্যায়ামের ফলে টেনে নেয়া শ্বাস প্রশ্বাস ফুসফুসকে সচল রাখতে এবং কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।সুতরাং প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। পরিশেষে – কাজের জন্য বের হবেন অবশ্যই মাস্ক পড়বেন সাথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখবেন, কিছুক্ষণ পর পর স্যানিটাইজ করুন।মনে রাখবেন, প্রতিকার এর চেয়ে প্রতিরোধ’ই উত্তম ।