মুশফিক-মোমিনুলের বিদায়ে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ!

আজ শনিবার (০১ মে )দলীয় ১৫১ রানে তিন অঙ্ক ছুঁতে ব্যর্থ তামিম নার্ভাস নাইন্টিজে ফিরলে ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। সব স্ট্রোকে মোমিনুলের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি নিজেও পৌঁছে গেছিলেন অর্ধশতকের দোরগোড়ায়। কিন্তু না, বিধি বাম! মুশিকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে চা বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা।আর ফিরেই মোমিনুল ও লিটনকে আউট করেন লঙ্কান স্পিনাররা। যাতে ২২৪ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনের শঙ্কায় বাংলাদেশ। মাত্র ১ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন মোমিনুল হক। ফেরার আগে খেলেন ১০৪ বলে ৪৯ রানের আক্ষেপে মোড়ানো ইনিংস। যাতে ছিল ৭টি চারের মার। আর লিটন দাস ছিলেন ৮ রান করে।

ইনিংসের তখন ৬২ তম ওভারের খেলা চলছে। ৪০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মুশফিক। ওপর প্রান্তে ৪৭ রান নিয়ে ফিফটির আশায় দাঁড়িয়ে আছেন অধিনায়ক মোমিনুল হক সৌরভ। অভিষিক্ত প্রভীন জয়াবিক্রমা ব্যক্তিগত ২১তম ওভারের চতুর্থ বলটি ডেলিভারি দিলেন, দ্রুতই সেটি আঘাত হানে মুশফিকের প্যাডে। সঙ্গে সঙ্গে সমস্বরে জোরালো আবেদন।

পিছনে ব্যাটের সাপোর্ট থাকায় সে আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে উৎসবে মাতেন লঙ্কানরা। আর বিমর্ষচিত্তে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়েন মি. ডিপেন্ডেবল। যাতে ২১৪ রানেই চতুর্থ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ফেরার আগে ৬২ বলে সাতটি চারের মারে ৪০ রান করেন মুশি, সেইসঙ্গে মোমিনুলের সঙ্গে গড়েন ১১১ বলে ৬৩ রানের প্রত্যয়দীপ্ত জুটি।

এর আগে সকালে আগের দুই ইনিংসের মতোই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে শুরু করেন তামিম ইকবাল। পাল্লেকেলেতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে ক্যারিয়ারের ৩১তম অর্ধশতক তুলে নিয়ে পৌঁছে যান শতকের দোরগোড়ায়। কিন্তু না, আবারও তিন অঙ্ক ছুঁতে ব্যর্থ তামিম ফিরলেন নার্ভাস নাইন্টিজেই।

দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টার শেষ মুহূর্তেই সেই প্রভীন জয়াবিক্রমার স্পিনে স্লিপে দাঁড়ানো থিরিমান্নের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন তামিম। ফেরার আগে ১৫০ বলে খেলেন ৯২ রানের আরেকটি আক্ষেপ ছড়ানো ইনিংস। যে ইনিংসে ছিল ১২টি চারের মার।

বিদায়ের আগে মোমিনুলের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৯৮ বলে গড়েন ৫৪ রানের জুটি। আর এরই সঙ্গে ইনিংসের ৪৪তম ওভারে গিয়ে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ, ১৫১ রানের মাথায়। একইসঙ্গে এ নিয়ে টানা তিন ইনিংসেই অর্ধশতক হাঁকালেন তামিম। এছাড়া সাইফ ২৫ রানে এবং শান্ত শূন্য রানে আউট হন।

উল্লেখ্য, সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১০১ বলে ৯০ রানের করেন টাইগার ড্যাশিং ওপেনার। দ্বিতীয় ইনিংসেও অভিজ্ঞ এই ব্যাটার অপারাজিত ছিলেন ৯৮ বলে ৭৪ রান করে।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রান তুলেই ইনিংস ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেন লাহিরু থিরিমান্নে। দলনায়ক দিমুথ করুনারত্নের ব্যাট থেকে আসে ১১৮ রান। এছাড়া ওশাদা ফার্নান্ডো ৮১ ও নিরোশান ডিকওয়েলা করেন অপরাজিত ৭৭ রান।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়ে সফল বোলার ছিলেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া তাইজুল, শরিফুল ও মিরাজ নেন একটি করে উইকেট।