এস,আহমেদ ডেক্সঃ সোমবার, ০৩ মে অসহনীয় তাপদাহের পর প্রত্যাশিত বৃষ্টি ।অবশেষে চট্টগ্রামে ঘনঘোর মেঘমালা, বিজলী চমকানি আর বজ্রের গর্জনে স্বস্তির বৃষ্টিপাত হয়েছে।দিনভর তীব্র রোদ ও ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ ছিল জনজীবন।তীব্র দাবদাহে পুড়েছে চট্টগ্রামবাসীএক পশলা বৃষ্টির জন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সবাই। কয়েকদিন টানা তাপদাহ শেষে রাত সোয়া ১টার দিকে হঠাৎ আকাশ মেঘমালার ছুটাছুটি হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে হিমেল দমকা হাওয়া এবং কালবৈশাখী ঝড়। বজ্রপাত চমকে উঠে জনপদ । দেখে মনে হলো এখনি নামবে বৃষ্টি। তা না হয়ে একটু গুড়ি বৃষ্টি থেমে থেমে স্বস্তির আকাঙ্খা। এরপর রাত একটু গভীরে আবারও শুরু হয় বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত। বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জনজীবনে।সকাল আটটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রাম অঞ্চলে হিমেল দমকা হাওয়া অব্যাহত থাকে। আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে আছে মাসব্যাপী খরা-অনাবৃষ্টি ও অসহনীয় তাপদাহের পর এই প্রত্যাশিত বৃষ্টি ও হিমেল শীতল বাতাসে বিশেষ করে মাহে রমজানে এবং করোনাকালে জনজীবনে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
কঠোর লকডাউন চলছে। বন্দর নগরীর সড়ক রাস্তাঘাট ফাঁকা। ভোর সকালে চারিদিকে সুনসান নীরবতা। এ সময়ে ঘনঘোর মেঘের সাথে হিমেল দমকা হাওয়াসহ মাঝারি বর্ষণের সুবাদে একটু শীতল পরশ পেতে ঘরের বাইরে গিয়ে অনেককে খালি সড়কে গা ভিজাতে দেখা গেল।
চট্টগ্রামে আজ সকালে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়া ও কালবৈশাখী ঝড়ে নগরের বিভিন্ন স্থানে গাছ ও ডালপালা ভেঙে উপড়ে গেছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সোমবার, ০৩ মে দিনগত রাত ১টা ২০ মিনিটে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে তাপমাত্রাও কমে আবহাওয়া খানিকটা শীতল হয়। টানা তাপদাহের পর এতেই স্বস্তি ফিরে পান নগরবাসী।আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস