আজ ৫ মে। ২০১৩ সালের এই দিনে ১৩দফা দাবিতে ঢাকা অবরোধ করে রাজধানীতে ব্যাপক তাণ্ডব চালান হেফাজতের কর্মীরা। রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর ছাড়াও দেশের কয়েকটি স্থানে সহিংসতা হয়। এসব ভয়াবহ তাণ্ডবের ঘটনায় করা ৭০টি মামলার মাত্র ১৬টিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।এর মধ্যে একটি মামলা রায়ের মুখ দেখেছে। ওই রায়ে আবার সবাই খালাস পেয়েছেন। এর মাধ্যমে শাপলা চত্বরের ঘটনায় করা মামলা নিয়ে ধীরগতির করুণ চিত্রই ফুটে উঠেছে।দীর্ঘ আট বছর আগে হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন। তারা বলেন, ঐসব মামলার বিচারে দীর্ঘসূত্রতার কারণেই তাণ্ডবের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর ঘিরে সারাদেশে হেফাজতের ফের তাণ্ডবের পর নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নতুন মামলার সঙ্গে ‘শাপলা চত্বরের’ মামলাগুলোও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।এসব পুরনো মামলায় সম্প্রতি হেফাজতের অনেক রথী-মহারথীকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বেরিয়ে আসছে সরকার পতনের চেষ্টাসহ অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চ কর্তৃক ইসলাম অবমাননা প্রশ্নে ‘হেফাজতে ইসলাম’ মাঠে নামে। এরপরই ধর্মনির্ভর সংগঠনটি গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে তাদের শাস্তিসহ ১৩ দফা দাবিতে মাঠে নামে। ওই বছরের ৬ এপ্রিল ঢাকামুখী লংমার্চ কর্মসূচি দিয়ে তারা আলোচনায় আসে। পরের মাসেই (৫ মে) ঢাকা ঘেরাও এবং মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি দিয়ে বসে সংগঠনটি।
অভিযোগ রয়েছে, হেফাজতের ওই কর্মসূচিতে নেপথ্যে থেকে ইন্ধন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত অবস্থানে মধ্যরাতের অভিযানে ঢাকা ছাড়তে বাধ্য হয় হেফাজতের নেতাকর্মীরা।