‘ চীনের পাঁচ লাখ ডোজ১২ই মের মধ্যে ঢাকায় আসবে’

১২ই মের মধ্যে চীনের দেয়া উপহার পাঁচ লাখ ডোজ টিকা এসে পৌঁছাবে। তবে কিনতে চাওয়া বাকী টিকা কবে আসবে, তা এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভারত থেকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার বাকি টিকা আসা অনিশ্চিত হয়ে পড়লে গণটিকাদান কর্মসূচি চালু রাখতে চীন এবং রাশিয়ার টিকার অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন। তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আশা ছাড়েনি বাংলাদেশ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বৃত্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬ কোটি টিকা পেতে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতও জরুরিভিত্তিতে ওই টিকা চাইছে- আর সেদেশে থাকা ভারতীয়রা তা দিতে চাপ দিচ্ছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত কখনও বলে নাই দিতে পারবে না, কিন্তু দিচ্ছে না। সবসময় বলে আমরা দিচ্ছি, কিন্তু দিতে পারছে না। কখন দেবে সেটাও বলেনি। আমরা ভারতকে লিখেছি, তিন মিলিয়ন জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন, এটা আগে দাও, বাকিগুলা আস্তে আস্তে দাও। এটার কোনো উত্তর দেয়নি। আমরা যেখান থেকে আগে পাব আনব, আমরা ওপেন।

চীন থেকে উপহারের টিকা ১২ই মের মধ্যে আসবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাকী টিকা কবে আসবে সেটি অনিশ্চিত। আর রাশিয়ার টিকা আসাও নানা কারণে দেরি হচ্ছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, চীনের এই উপহারের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে কিনে নেয়া হবে আর কয়েক লাখ ডোজ টিকা। যদিও সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে আমরা যে টিকা কিনতে চাই, সেটা আসতে আরো অনেকদিন সময় লাগবে। আপাতত উপহারের ৫ লাখ ডোজ দিয়েই সঙ্কট মোকাবেলা করা সম্ভব।

এদিকে দুপুরে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, চুক্তি অনুযায়ী টিকা সরবররাহ না করতে পারলে সিরামকে দেয়া অগ্রিম অর্থ ফেরত আনা যাবে।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন না এলে অবশ্যই টাকা ফেরত পাব। এভাবে কোনো দেশ কোনো দেশের টাকা মেরে দেয় নাকি? আমরা লিগ্যাল ডকুমেন্টের মাধ্যমে চুক্তি করেছি। এটা তো গোপন কোনো কাজ নয়। কাগজপত্রে লেখালেখি হয়েছে, ডকুমেন্টেশন হয়েছে। সুতরাং কন্ট্রাক্টচুয়্যাল ডিভিশন তাদেরও আছে আমাদেরও আছে। আমরা চেষ্টা করছি ভ্যাকসিন আনার জন্য। আমরা অন্যান্য সোর্সেও চেষ্টা করছি ভ্যাকসিনের জন্য।

তিনি আরও বলেন, আমি আগেই বলেছি আমরা একটা সোর্সের ওপর ডিপেন্ড করব না। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, দেশের মানুষের জীবন-মরণ নিয়ে প্রশ্ন। সুতরাং এখানে আমরা শুধু একটি সোর্সের উপর নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকলে হবে না। তাই এর পাশাপাশি আরো বিভিন্ন সোর্স থেকে যারা ভ্যাকসিন তৈরি করে এবং যারা গ্রহণযোগ্য, যাদের ভ্যাকসিনে কোন আশঙ্কা নেই সেসকল কোম্পানি থেকেও আমরা ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য চেষ্টা করছি।