আজ বুধবার (৫ মে)চলতি বাজেটের সময় কম থাকায় আগামী জুন পর্যন্ত গণপূর্ত বিভাগের নতুন কোনো প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হবে না বলে জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।আজ অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী জানান,আজকের বৈঠকে গণপূর্ত বিভাগের যে প্রকল্পগুলো ছিল, সেগুলো আমরা বিবেচনা করিনি। কারণ এখন সময় নেই। এই অর্থবছর কাজগুলো শেষ করা যাবে না। অর্থবছরের সময় আছে মাত্র এক মাস। চলতি মাস বাদ দিলে শুধু জুন মাস বাকি।
আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, গণপূর্ত বিভাগের যেগুলো চলমান কাজ, সেগুলো চলবে এবং বিদেশি অর্থায়নের কাজগুলোও চলবে। এছাড়া নতুন যেসব প্রকল্পের কাজ শেষ করতে বেশি সময় লাগবে এবং এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে শেষ করা যাবে না, সেগুলো পরে কাজ শুরু করতে হবে। কারণ এখন যে ম্যাটেরিয়ালস এবং খরচ তা স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। এগুলো প্রাইজও আমরা সেভাবে জানি না। এগুলোর ওপর ভিত্তি করে আমরা কোনো প্রকল্প অনুমোদন দিতে পারব না। সেজন্য আমরা ঠিক করেছি- এখন থেকে আগামী জুন পর্যন্ত গণপূর্ত বিভাগের নতুন কোনো প্রকল্প আমরা অনুমোদন দেব না। এটা আমরা পরিষ্কার করে দিয়েছি।
চলতি অর্থবছর নতুন কোনো পূর্তকাজ অনুমোদন দেয়া হবে না অর্থ বিভাগের সেই পরিপত্র বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অর্থ বিভাগের সার্কুলারে পরিপ্রেক্ষিতেই আজ আমরা গণপূর্ত বিভাগের নতুন কোনো প্রকল্পের অনুমোদন দেয়নি। যেসব প্রকল্প এসেছিল আমরা তা বিবেচনা করিনি।
এদিকে আজ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ‘ঢাকাস্থ মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ শীর্ষক গণপূর্ত অধিদফতরের পাঁচটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। যার একটিও অনুমোদন করেনি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল অর্থ বিভাগ এক পরিপত্রে চলতি (২০২০-২১) অর্থবছরের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় নতুন কোনো পূর্ত কাজের (নির্মাণ-স্থাপনা) কার্যাদেশ না দিতে নির্দেশনা দেয়।
পরিপত্রে বলা হয়, চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও সরকারের কৃচ্ছ্র সাধন নীতির আলোকে চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) অবশিষ্ট সময়ে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় নতুন কোনো পূর্ত কাজের কার্যাদেশ প্রদান করা যাবে না। তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় এ পরিপত্রের আওতাবহির্ভূত থাকবে বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়।