নগরীর মার্কেট ও শপিংমল বৃহস্পতিবার ৬ মে খোলার এ সংবাদ পেতে না পেতেই ঈদের পোশাক কেনার রীতিমত ভিড় পড়ে যায় মার্কেটগুলোতে। ফলে লকডাউনের মধ্যেই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। নগরীর বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, মানুষ ঈদের ঠিক পূর্বমুহূর্ত ভেবেই মার্কেটে ভিড় করছে। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে, আবার কেউ কেউ বন্ধু-বান্ধবকে সাথে নিয়ে এসেছেন কেনাকাটা করতে অধিকাংশের মুখে মাস্ক থাকলেও মানা হচ্ছে না কোনো প্রকারের সামাজিক দূরত্ব। এরমধ্যে কেউ কেউ আবার মাস্ক পরিধান না করেও আড্ডা দিচ্ছে।ঘুরে বেড়াচ্ছে। নগরীর বিপণী বিতান (নিউমার্কেট) ব্যবসায়ীা বলেন ।আমরা আজ মার্কেটের ১৫টি পয়েন্টে স্যানিটাইজার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি এছাড়াও মাস্ক ছাড়া যারা আসছেন, তাদের মাস্ক দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আর সব দোকানদারকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি, ভিড় না করা কাস্টমারদের পাশে পাশে দাঁড়াচ্ছি না। দূরত্ব বজায় রেখেই জিনিস দেখাচ্ছি, বিক্রি করছি। কেউ যেন মাস্ক ছাড়া মার্কেটে না থাকে। আমরা প্রয়োজনে আরো কঠোর হব। তবু আমাদের যেন ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হয়। ক্রেতারা জানান নিউমার্কেটের হাটার আয়তনে বড় হওয়ায় কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি সব সময়।এবং ড্রেসের কালেকশন অনেক বেশি থাকায় দেখে বুঝে কেনাকাটা করতে পারি।মোটামুটি ভালোই ক্রেতা আছে। মানুষের মধ্যে কেনাকাটার আগ্রহ আছে। গতবারের চেয়ে এবার বিক্রি ভালো হচ্ছে।
অন্যদিকে টেরিবাজারে সন্পূর্ণ উল্টো চিত্র দেখা গেল মানুষে মানুষে গিদ গিদ করছে মার্কেটে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে ।মাস্ক না পরা প্রসঙ্গে মার্কেটের কিছু দোকানিকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, সারাদিন মাস্ক পরেই থাকি। অতিরিক্ত গরম পড়ছে। তাই কিছুক্ষণের জন্য মাস্ক খুলে রেখেছি। সেই সকাল থেকে রাত ১১ অবধি ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে অভিজাত শপিংমল থেকে ফুটপথ সবস্থানেই ক্রেতাদের ভীড়। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে তাল মিলিয়ে পরিবার পরিজনের জন্য ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত সবাই।