আজ শনিবার(০৮ মে)‘আগে জীবন পরে জীবিকা, এই মূহুর্তে বেঁচে থাকাটাই জরুরি। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক আনন্দ উৎসব করা যাবে, কাজেই এবার অন্তত সকলে মিলে ত্যাগ স্বীকার করি বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।’আজ সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান,এসময় মন্ত্রী ঈদকে সামনে রেখে পরিবহন ও যাত্রীদের চাপ থাকায় ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে চাপ বেড়ে যায়, তাই ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি সমন্বয় করে জনভোগান্তি লাঘবে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান।বর্ষার আগেই রাস্তা মেরামতের কাজগুলো করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন,চলমান গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শেষ করতে হবে। পুরাতন কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোন প্রকল্প হাতে না নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভীড় প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। শপিংমল মার্কেটগুলোতেও একই অবস্থা। এধরণের পরিস্থিতি গত কয়দিনে করোনা সংক্রমণ হারের যে নিম্নমুখী প্রবণতা সেটাকে আবারও বাড়িয়ে দিতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে যার যার অবস্থানে থেকে ঈদ উদযাপন করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন সকলে মিলে প্রাণঘাতী এই করোনাকে প্রতিরোধ করি।
এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ করার স্থান দর্শনীয় করে তোলার জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রেসকোর্স ময়দানে প্রথম গাছ লাগিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটিকে উদ্যান হিসেবে বঙ্গবন্ধুই সৃষ্টি করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষনের স্থান ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পন করার স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি হয়ে এই উদ্যানের অধিকাংশ জায়গা জুড়ে শিশুপার্ক করেছিলো। পরিবেশবাদীরা তখন প্রশ্ন তোলেন নাই কেন? কারো মুখে একটা কথাও সেদিন আমরা শুনতে পাইনি।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সৌন্দর্য বর্ধনের নামে এই ঢাকা শহরে রাস্তার পাশ থেকে কত সুন্দর সুন্দর গাছ কেটে ফেলা হয়েছিলো, উজাড় করে ফেলা হয়েছিলো এই নগরীর সৌন্দর্য।’
ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন ‘সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তব সম্মত উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।’