হু হু করে বাড়ছে করোনা Anik Mallick ছবি
সরকারী বিধিনিষেধ স্বাস্থ্যবিধি কেউই মানছে না। দূরত্ব , মাস্ক ব্যবহার করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তাররোধে জনসচেতনতা খুবই প্রয়োজন।চট্রগ্রাম নগরীর টেরিবাজার রিয়াজউদ্দিনবাজারে এক কথায় ঈদের বাজারে রাত অবধি আশপাশের এলাকার ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় গত কদিন ধরেই বিশেষ করে গভীর রাত পর্যন্ত মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে আসছেন।সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মার্কেট ও বিপণিবিতানগুলোতে বিপুলসংখ্যক ক্রেতারা কেনাকাটা করার জন্য ভিড় করছেন। বেশির ভাগ মার্কেট ও বিপণিবিতানে মহিলা ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি থাকলেও অনেকে আবার পরিবার-পরিজন এমনকি শিশুদের সঙ্গে নিয়েও কেনাকাটা করতে এসেছেন।
এতে করোনা পরিস্থিতির অবনতিতেও উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি করোনা প্রতিটি মার্কেট ও বিপণিবিতানে পছন্দের জিনিসপত্র কিনতে ছুটছেন শহরের বাহিরে থেকে আসা ক্রেতা ও ব্যবসায়ী বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এতে পরিস্থিতির অবনতির আশংখ্যা।
প্রতিটি মার্কেট ও বিপণিবিতানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় রাত অবদি। এ ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা করোনা মহামারিতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও সরকারের কঠোর বিধি-নিষেধ জারির পরও জনসাধারণের মধ্যে যেন কোনো ধরনের করোনাভীতিই নেই। এই সংকটকালেও নিশ্চিন্তে ক্রেতারা ঈদের কেনাকাটা করছেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে বেচাকেনা করার নির্দেশনায় জানানো হয়। সংক্রমণ থেকে রক্ষায় ঘরের বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরিধান এবং নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণি বিতানগুলোতে আগত ক্রেতাদের অধিকাংশের মুখে নেই কোনো মাস্ক। এমনকি তারা গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ও বসে কেনাকাটা করছেন। আবার অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেরও বিক্রেতা বা সেলসম্যানের মুখে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি।সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মার্কেট ও বিপণিবিতানগুলোতে বিপুলসংখ্যক ক্রেতারা কেনাকাটা করার জন্য ভিড় করছেন। বেশির ভাগ মার্কেট ও বিপণিবিতানে মহিলা ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি থাকলেও অনেকে আবার পরিবার-পরিজন এমনকি শিশুদের সঙ্গে নিয়েও কেনাকাটা করতে এসেছেন।
এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।এতে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর ও জোড়ালো লকডাউন এবং জনগণের কাগজে-কলমে নয়, বরং বাস্তবিকভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এবারও মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সফল হওয়া সম্ভব। সবদিকে বিষাক্ত ছোবল। ঈদ শপিং করতে গিয়ে আমাদের দেশে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করলে প্রকৃতি আমাকে আপনাকে ক্ষমা করবে না। ঈদে নতুন কাপড় পরার বেশি ইচ্ছে হলে অনলাইনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকুন।
দেশকে মৃত্যুপুরী বানাবেন না।
Anik Mallick ছবি