আজ রোববার(০৯মে) ‘মাতৃত্ব ও মা দিবস’। সত্যিই পৃথিবীর শ্রেষ্ট সম্পদ হলো মা। দুঃখে ও সুখে প্রতিটি সময় যিনি স্নেহ ভালোবাসায় আপনার পাশে থাকেন, তিনি হলেন মা।পৃথিবীতে যদি কেউ নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসতে পারেন, তিনি হলেন মা। জন্মদাত্রী মা, যার কল্যাণে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখা হয় সন্তানের।
আর মায়ের ভালবাসা পেতে কখনো প্রয়োজন হয় না ভালবাসি বলা।পৃথিবীর মানুষ এই দিনটি উদযাপন করে পরম ভালোবাসা মমতা নিয়ে। মা দিবসের মূল উদ্দেশ্য, মাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া।যে মা জন্ম দিয়েছেন, লালন-পালন করেছেন, তাকে শ্রদ্ধা দেখানোর জন্য দিনটি পালন করা হয়।তবুও মাকে গভীর মমতায় স্মরণ করার দিন আজ।
করোনার কারণে এবারের মা দিবসে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই ঘরবন্দি। এমন অবস্থায় বাইরে বের হওয়া ও মায়ের জন্য উপহারের কেনাকাটা করাও নিরাপদ নয়। কার্যত লকডাউনের মধ্যেই সারা পৃথিবী এবার মা দিবস পালন করবে। কবিদের এই পংক্তিগুলো:-মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু জানো ভাই/ ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই’ বা ‘মায়ের মতো আপন কেহ নাই’
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে দিনটি পালন করা হয়। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় রোববার নরওয়েতে, মার্চের চতুর্থ রোববার আয়ারল্যান্ড, নাইজেরিয়া ও যুক্তরাজ্যে। আর বাংলাদেশে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার।আজ বিশ্বজুড়ে পালন করা হচ্ছে মা দিবস।
বিশ্বের অনেক দেশে কেক কেটে মা দিবস উদ্যাপন করা হয়। তবে মা দিবসের প্রবক্তা আনা জার্ভিস দিবসটির বাণিজ্যিকীকরণের বিরোধিতা করে জানান,মাকে কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর অর্থ হলো, তাকে দুই কলম লেখার সময় হয় না। চকলেট উপহার দেওয়ার অর্থ হলো, তা নিজেই খেয়ে ফেলা।
আনা জার্ভিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর ও ওহাইওর মাঝামাঝি ওয়েবস্টার জংশন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার মা অ্যান মেরি রিভস জার্ভিস সারা জীবন ব্যয় করেন অনাথ-আতুরের সেবায়। মেরি ১৯০৫ সালে মারা যান। লোকচক্ষুর অগোচরে কাজ করা মেরিকে সম্মান দিতে চাইলেন মেয়ে আনা জার্ভিস। অ্যান মেরি রিভস জার্ভিসের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সব মাকে স্বীকৃতি দিতে আনা জার্ভিস প্রচার শুরু করেন।
পরে ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
যদিও করোনার কারণে গত বছরের মতো এবারও দিবসটিতে কোনো আনুষ্ঠানিকতা দেখা যাবে না। তাই বলে ঘরে ঘরে মায়ের ভালোবাসা কুড়াতে কার্পণ্য করবে না সুসন্তান।
এতে মাকে শ্রদ্ধা আর ভালবাসা দেখাতে সন্তানের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করে নেয়ার যুক্তি নেই। সন্তানের কাছে ৩৬৫ দিনই মা দিবস হওয়া উচিত। কিন্তু অনেকেই মনে করেন মাকে বাড়তি সম্মান দেখাতে, গভীরভাবে মাকে শ্রদ্ধা করতে আন্তর্জাতিক মা দিবসের গুরুত্ব রয়েছে।