এস আহমেদ ডেক্স প্রতিবেদনঃ মা শাশ্বত, চিরন্তন একটি আশ্রয়ের নাম। মা শব্দটি মনে করিয়ে দেয় অকৃত্রিম স্নেহ, মমতা আর গভীর ভালোবাসার কথা।মায়ের সাথে সন্তানের নাড়ির সম্পর্ক, রক্তের সর্ম্পক ।মা’ দিবস বলেই মাকে মনে পড়তে হবে তা কিন্তু নয়। মাকে মনে রাখতে হবে দিন দিন প্রতি দিন ‘
মায়ের মতো আপন কেহ নাই রে কিংবা মধুর আমার মায়ের হাসি চাঁদের মতো ঝড়ে, মাকে মনে পড়ে আমার, মাকে মনে পড়ে’। মাকে তো মনে পড়তেই হবে। মাকে মনে না পড়লে পৃথিবীতে আমার অস্তিত্বই থাকবে না। যার রক্তে-মাংসে গড়ে ওঠা আমার কিংবা আমাদের এই দেহঘড়ি। মমতাময়ী মা তাদের চিরন্তন ভালোবাসায় তিলে তিলে গেড়ে তুলেছেন সন্তানের ভবিষ্যৎ সেই মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসার দিন আজ।জন্মদাতা মাতা এর পাশাপাশি দেশমাতাকেও সমানভাবে ভালবাসতে হবে। বিশ্ব মা দিবসে আমরা এটিই প্রত্যাশা করি।সেই মায়ের স্মরণে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্ব মা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।যদিও মা’য়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না।
মায়ের মর্যদা বা ভালবাসা পশ্চিমা বিশ্বের মানুষগুলো হয়ত বছরে একদিন উপলব্দি করে,
যদিও মাকে ভালোবাসা কোন দিনক্ষণ ঠিক করে হয় না, প্রতিটি দিনই হোক মা দিবস। তবুও মাকে গভীর মমতায় স্মরণ করার দিন আজ।
মাকে স্মরণ করার জন্য দিনের ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ডের যে কোন সময় হতে পারে। তাই আসুন মাকে ভালবাসি, মায়ের সাথে কথা বলি, মায়ের খোজ খবর নেয়; মায়ের সেবা করি । বহু বছর পুর্বে ইংল্যান্ডে মায়েদের সম্মান জানানোর রীতি প্রচলিত ছিল এবং তা ‘মায়ের জন্য রোববার’ হিসেবে পালন করা হোত। একে আবার মিড লেন্ট সানডে বলা হয় বিশ্ব ‘মা’ দিবস বলেই মাকে মনে পড়তে হবে তা কিন্তু নয়। মাকে মনে রাখতে হবে দিন দিন প্রতি দিন। তারপরও একটি দিন
বিশেষভাবে মায়ের জন্য, বিশ^ মা দিবস। মা। ছোট্ট একটি শব্দ। অথচ এর ব্যাপ্তি দিগন্ত জোড়া।বিশ্বের ৪০ টিরও বেশি দেশে
পালন করা হয় বিশ্ব মা দিবস। বাংলাদেশে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার দিনটি উদযাপন করা হয়। মা কেমন হয় তার প্রমাণ দেওয়া কঠিন। পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে মায়ের পরিচয়, সন্তানের জন্য স্নেহ-ভালোবাসার অনেক উদাহরণ“আমি যা হয়েছি বা যা হতে চাই তার সবটুকুর জন্যই আমি আমার মায়ের কাছে ঋণি। আমার মায়ের প্রার্থনাগুলো সব সময় আমার সঙ্গে সঙ্গে ছিল”।জানা যায়, প্রাচীন গ্রিসে মা দিবস পালনের প্রচলন ছিল। কিন্তু আধুনিক মা দিবস প্রবর্তন করেন এক মার্কিন নারী। ১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের নারী মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন। ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃ দিবস হিসেবে পালন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ বিশ্বের শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে।
বিস্তারিত Alorkantho24news