বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের তিন বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল) বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
২০১৮ সালের ১২ মে বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে ‘স্পেস এক্স’র স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী যান ফ্যালকন-৯ এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হয়।
এরই মধ্যে দেশের বাজারে সব টেলিভিশন চ্যানেল বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট দিয়ে চলছে। এ ছাড়া ডিটিএইচ সেবা কার্যক্রমও চলছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। কয়েকটি ব্যাংকও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বর্তমানে স্থানীয় বাজার দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। এরই মধ্যে দেশের দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মাণেরও পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
গাজীপুরের জয়দেবপুরে তৈরি করা গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন। ফ্রান্সের মহাকাশ সংস্থা থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস নির্মিত ৩ দশমিক ৭০ টন ওজনের বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি। এর মধ্য দিয়ে নিজস্ব স্যাটেলাইটের অধিকারী বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নিজ কক্ষপথে পরিচালিত হওয়ার পর বাংলাদেশে সম্প্রচার যোগাযোগে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বিস্তৃত করতে এটি ভূমিকা রাখছে। বালাদেশে টেলিভিশন সম্প্রচার পদ্ধতি আরও সহজ হওয়ার পাশাপাশি খরচ কমবে এই মাধ্যমে। আবার দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এ স্যাটেলাইট কাজে লাগাবে