তরুণ এক স্কোয়াড নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসছে শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে দল। এই দল নিয়েই কীভাবে ভালো করা যাবে সেই যুক্তি দেখিয়েছেন দলটির নতুন অধিনায়ক কুশল পেরেরা। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে দলের সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই সাথে সবার ভেতরে আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করানোর কাজ করে যাচ্ছেন কুশল।
তিনি বলেন, ‘জিততে হলে আমাদের ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতেই হবে। হেরে গেলেও ভীত হওয়া যাবে না। যদি আপনি আপনার জায়গা নিয়ে চিন্তা করেন, তাহলে শতভাগ দিতে পারবেন না। আমি খেলোয়াড়দের বলেছি, যাও এবং নিজেদের সবটা নিংড়ে দিয়ে খেলো। যদি আমরা অনুশীলনেও নির্ভীক থাকতে পারি, তাহলে ম্যাচেও সেভাবে খেলতে পারব। আমি দলকে এটাই বলেছি। যদি আমরা ভয় পাই, তাহলে আরও পিছিয়ে পড়ব। খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেক আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করানোর চেষ্টা করছি আমি।’
নিজের খেলা সম্পর্কে কুশল বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতেই পছন্দ করি এবং এই কারণেই আমি সাফল্য পাই। যখনই আমি ভয় নিয়ে খেলি, আমি সফল হতে পারি না। আমি চাই, সবাই এভাবেই খেলুক। আপনি নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না যে, এভাবে খেললে সফলতা আসবেই, তবে এটুকু বলতে পারবেন যে, ভালো করার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।’
কীভাবে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে সেই দিকনির্দেশনাও বাতলে দিয়েছেন কুশল, ‘এই নির্ভীক চিন্তাভাবনা পাওয়ার জন্য অনুশীলনে সেভাবে কাজ করতে হবে। কারণ আপনি যদি জানেন, আসলে আপনি কোন শট খেলবেন, তাহলেই আপনি সেটা নির্ভয়ে খেলতে পারবেন। নিজের দুর্বলতা ও শক্তির জায়গা বুঝতে হবে। আমি মারলে বলটি কোথায় যাবে, আমার শটটি নিতে সমস্যা হবে কিনা- এসব আপনাকে বুঝতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি বোলার হন, তাহলে বুঝতে হবে কোন বলে উইকেট পাবেন এবং কোন বলটি করলে ডট দিতে পারবেন। এসব জিনিসই আপনাকে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে সাহায্য করবে। ফিল্ডিংয়েও আমাদের একই কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ সফরে আমাদের ফিল্ডিং ইউনিট নিয়েও আমি খুবই আশাবাদী।’
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে দুই দিনের মধ্যেই (১৬ মে) বাংলাদেশে আসবে শ্রীলঙ্কা দল। আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগের অংশ হিসেবে এই সিরিজ মাঠে গড়াবে আগামী ২৩, ২৫ ও ২৮ মে। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য সবকটি ম্যাচই হবে দিবারাত্রির।
বাংলাদেশ সফরের জন্য শ্রীলঙ্কার ১৮ সদস্যের স্কোয়াড
কুশল জেনিথ পেরেরা (অধিনায়ক), কুশল মেন্ডিস (সহ অধিনায়ক), দানুশকা গুনাথিলাকা, পাথুম নিসাঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, আশেন বান্দারা, নিরোশান ডিকওয়েলা, দাসুন শানাকা, ইসুরু উদানা, চামিকা করুনারত্নে, লাকসান সান্দাকান, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, রমেশ মেন্ডিস, দুশমান্তা চামিরা, আকিলা ধনঞ্জয়া, শিরান ফার্নান্দো, বিনুরা ফার্নান্দো ও আসিথা ফার্নান্দো।