স্বর্ণালী প্রিয়া ডেক্স প্রতিবেদনঃমঙ্গলের মাটিতে এবার প্রতিবেশি পেতে চলেছে নাসার রোভার পারসেভেব়্যান্স। শুক্রবারই লাল গ্রহে পা রাখার কথা আছে চিনের রোভারের। চাইনিজ ন্যাশনাল স্পেস অ্য়াডমিনিস্ট্রেশনের তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। এই রোভারের নাম রাখা হয়েছে জুরং। তাইওয়ান-১ স্পেসক্র্যাফ্টের অংশ এটি। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এটি মঙ্গলের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে।
মঙ্গল পৃষ্ঠে চিন সফলভাবে তার রোভার নামাতে পারে তবে তারা হবে বিশ্বের তৃতীয় দেশ যারা পৃথিবীর বাইরে সফলভাবে রোভার নামাতে সক্ষম হল। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া অন্য গ্রহের মাটিতে রোভার নামিয়েছে। চিন যদি শুক্রবার সফলভাবে তাদের রোভার নামাতে পারে তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর তারাই হবে বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ যারা মঙ্গলে রোভার নামাল। এর আগে একমাত্র আমেরিকাই লাল গ্রহের মাটিতে সফলভাবে রোভার নামিয়েছে। সেটি হল নাসার রোভার পারসেভেব়্যান্স।
রাশিয়া রোভার নামিয়েছে শুক্র গ্রহে। চিনের লক্ষ্য হল এই মিশনে তারা মঙ্গলের চারপাশে প্রদক্ষিণ করবে, মঙ্গলের মাটিতে নামবে এবং গবেষণা চালাবে। এই দেশ তাদের মহাকাশ যানকে সফলভাবে মঙ্গলের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করাতে সক্ষম হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতেই প্রথম লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে তারা। জানা গিয়েছে, চিনের মার্স অরবিটর ৭টি সায়েন্টিফিক প্লেলোড বহন করছে। অন্যদিকে লাল গ্রহকে আবিষ্কার করতে ৬টি যন্ত্রপাতি রয়েছে চিনের জুরং রোভারে।
রোভার মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পর থেকে চিনের বিজ্ঞানীরা হেডকোয়ার্টার থেকে পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে। মঙ্গল পৃষ্ঠে নামার সময় পৃথিবীর স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই সময়টা হল ৭ মিনিট। এর মধ্যে মেশিন সফলভাবে মঙ্গলের মাটি ছুঁতে পারে বা ক্র্যাশ হয়ে যেতে পারে। ল্যান্ডার মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পরই শুরু হবে উদ্বেগ।
রোভারটি হিট শিল্ডের নিচে ধাক্কা দেবে। এর ফলে যন্ত্রটি মঙ্গলের উপরের বায়ুমণ্ডলে ঘর্ষণজনিত কারণে সৃষ্ট তাপ থেকে রক্ষা পাবে। মাঝা রাস্তায় হিট শিল্ডটি খসে পড়ে গেলে কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি প্যারাসুট তার জায়গা নেবে। তার সাহায্যেই যন্ত্রটি মঙ্গলের মাটিতে নামবে। মাটিতে সফল ভাবে ল্যান্ডার অবতরণ করলে সেখান থেকে রোভার নামানোর জন্য একটি র্যাম্প তৈরি হবে। তার সাহায্য়েই মঙ্গলের মাটি ছোঁবে জুরং।